যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যু হল মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। মৃতের নাম উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায় (২৪)। বাড়ি পুরুলিয়া জেলার মানবাজারের নামপাড়ায়।
একটি খুনের মামলায় গত মার্চে সাজা শোনানো হয় উজ্জ্বলকে। ১৯ মার্চ থেকে তিনি মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ছিলেন। থাকতেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। জেল সূত্রে খবর, নববর্ষ উপলক্ষে সোমবার সন্ধ্যায় সংশোধনাগারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বন্দিরা যোগ দেন। অনুষ্ঠান শেষে সকলেই ওয়ার্ডে ফিরে যান। রাত ৮টা নাগাদ বন্দিদের সংখ্যা মেলানোর সময় দেখা যায়, একজন কম রয়েছেন। তখনই উজ্জ্বলের খোঁজ শুরু হয়। পরে দেখা যায়, জেল চত্বরে একটি বিদ্যুতের খুঁটির নীচে তাঁর দেহ পড়ে রয়েছে। জেল কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক অনুমান, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওই বন্দি অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন। সম্ভবত তিনি বিদ্যুতের খুঁটি থেকে নীচে ঝাঁপ দিতে চেয়েছিলেন। তখন কোনও ভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। যদিও মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনই কিছু বলতে নারাজ জেল কর্তৃপক্ষ। জেল সুপার খগেন্দ্রনাথ বীর বলেন, “ল্যাম্প পোস্টের নীচে মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”
উজ্জ্বলবাবুর পরিবারের সদস্যরা দেহ নিতে মঙ্গলবার ভোরে মেদিনীপুর রওনা হন। প্রতিবেশী প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সোমবার রাত ১২টা নাগাদ মানবাজার থানা থেকে খবর পাই উজ্জ্বল মেদিনীপুর জেলে মারা গিয়েছেন। মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়।” উজ্জ্বলের বাবা দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় শোকস্তব্ধ। কোনওমতে তিনি বলেন, “ছেলেটা জেলে ছিল, তবু তো বেঁচে ছিল। ও যে এ ভাবে মারা যাবে ভাবিনি।” জানা গিয়েছে, শেষকৃত্যের পর ঠিক কী ঘটেছিল জানতে চেয়ে আবেদন জানাবে মৃতের পরিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy