প্রমথনাথ মান্না।—নিজস্ব চিত্র।
ফের আদালতের পথে এজেন্ট ও আমানতকারীদের গালিগালাজ শুনতে হল এমপিএস কর্ণধার প্রমথনাম মান্নাকে। মঙ্গলবার বাঁকুড়ায় ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর উদ্দেশে উড়ে আসে বাছা বাছা বিশেষণ। সেই সময় এমপিএস কর্ণধারের মেয়ে ওই জায়গায় চলে এলে তাঁকেও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। বুধবারও প্রমথনাথবাবুকে বাঁকুড়া আদালতে তোলার সময় তাঁর প্রিজন ভ্যান ঘিরে এজেন্ট ও আমানতকারীরা বিক্ষোভ দেখান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ধৃত সংস্থার ডিরেক্টর প্রবীর চন্দ। সিজেএম আদালতের বিচারক দু’জনকেই ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে শ্যামল সেন কমিশনে গিয়ে গ্রেফতার হন প্রমথনাথবাবু ও প্রবীরবাবু। পরের দিন তাঁদের বাঁকুড়া আদালতে তোলা হয়। সে দিন থেকে যতবার তাঁদের আদালতে তোলা হয়েছে, কার্যত নিয়ম করে এজেন্ট ও আমানতকারীরা জড়ো হয়ে তাঁদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। ওই দু’জনকে দেখতে পেলেই ভেসে এসেছে কটূক্তি।
এ দিন অবশ্য কৃষ্ণাদেবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তবে প্রমথনাথবাবুকে বিক্ষোভ দেখাতে এ দিনও আদালতে হাজির ছিলেন বেশ কিছু এজেন্ট ও আমানতকারী। প্রমথনাথবাবুকে উদ্দেশ্য করে এক আমানতকারীকে এ দিন ঝাঁটা দেখাতেও দেখা যায়। তাঁকে ‘চোর’ বলে উল্লেখ করে পুলিশ কেন তাঁকে ‘রাজার হালে’ রাখছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বহু বিক্ষোভকারী। আদালত থেকে বের করে প্রমথনাথবাবুকে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় তাঁর গাড়ির পিছনে ছুটতে ছুটতে গালিগালাজ দেন এজেন্টরা।
এমপিএস সংস্থার এজেন্ট নিমাই চৌধুরী, সঞ্জয় মণ্ডলরা অভিযোগ করেন, “একটা চোরকে রাজার মতো খাতির করছে পুলিশ। প্রিজন ভ্যানের বদলে কোর্ট লকআপ থেকে ওকে পায়ে হাঁটিয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় কোমরে দড়ি বেঁধে আদালত পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া উচিত। গরীব মানুষের রোজগার করা টাকা লুঠ করে নিজের মেয়ের বিয়েতে দেদার খরচ করেছেন প্রমথনাথবাবু।” তবে এ দিন মুখ খোলেননি তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy