সিমলাপালে বুধবারের নিজস্ব চিত্র।
হিমঘর থেকে আলু চাষিদের বন্ড দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগে প্রতিবাদে পথে নামলেন আলু চাষিরা। অবরোধ করা হল রাস্তা।
বুধবার সিমলাপালের বিক্রমপুর বাজার এলাকার ঘটনা। এ দিন সকাল ৭টা থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়ক অবরোধ করে রাখেন কয়েকশো চাষি। আন্দোলনের চাপে পড়ে হিমঘর কর্তৃপক্ষ চাষিদের ফের বন্ড দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ ওঠে।
আন্দোলনকারী চাষিদের মধ্যে সিমলাপালের তিলাবনী গ্রামের উত্তম পতি, কেশিক্যোচা গ্রামের তপন সিংহ মহাপাত্র, কেশিয়ার রিন্টু শিটদের ক্ষোভ, “আমাদের কিছু না জানিয়ে হঠাত্ই আলুর বন্ড দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে হিমঘর কর্তৃপক্ষ। এ দিন আলু রাখতে এসে শুনছি বন্ড দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হিমঘরের দরজায় একটি কাগজে বন্ড দেওয়া যাবে না বলে লিখে সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা গাড়ি গাড়ি আলু কোথায় রাখব?” চাষিরা জানাচ্ছেন, জেলার নানা এলাকায় মাঠ থেকে বিভিন্ন দামে আলু কেনা হচ্ছে। বাজার না থাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরাও। পরে দাম পাওয়ার আশায় এ দিকে হিমঘরে মজুত করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, বন্ড দেওয়া বন্ধ। ফলে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। চাষিরা জানান, সিমলাপাল ব্লকে আলুর দর এখন কুইন্ট্যাল পিছু ৪০০ টাকারও নীচে নেমে গিয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, মাঠে আলুর দাম পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বহু চাষিই একটু লাভের আশায় চেষ্টা করছেন কিছুটা আলু হিমঘরে মজুত করে রাখার। এই পরিস্থিতিতে হিমঘর কর্তৃপক্ষ তাঁদের ফিরিয়ে দিলে সে টুকু লাভও মিলবে না বলে জানাচ্ছেন চাষিরা। মাঠে আলুর দাম পড়ে যাওয়ায় আলুর সহায়ক মূল্য ঘোষণার দাবি তুলেছে পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি ও ভারতীয় কিষান সঙ্ঘ। জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে এই দাবি জানিয়েছে ওই দুই সংগঠন। আন্দোলনের চাপে পড়ে চাষিদের সঙ্গে কথা বলে হিমঘর কর্তৃপক্ষ। যদিও হিমঘর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ দিন চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। সিমলাপালের বিডিও সৌম্যব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি বৈঠকে ছিলাম না। তবে শুনেছি প্রত্যেক চাষিকে ২০ বস্তা করে আলুর বন্ড দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে হিমঘর কর্তৃপক্ষ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy