শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় স্মরণে আয়োজিত বিজেপির সভায় উঠে এল তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবং বিধায়ক মনিরুল ইসলাম প্রসঙ্গ। বুধবার সন্ধ্যায়, শ্রীনিকেতনে বিজেপির বোলপুর- শ্রীনিকেতন ব্লক নেতৃত্বের উদ্যোগে একটি পথসভার অভিযুক্ত ওই দুই নেতা এবং বিধায়ককে অবিলম্বে গ্রেফতার করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়ার দাবি তুলল বিজেপি।
এ দিন সন্ধ্যায় ওই পথসভায় কয়েক শো মানুষ যোগ দেন। ওই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সহ-সভাপতি কাজী গোলাম মেহবুব জানান, “সাম্প্রতিক কালে পশ্চিমবাংলায় যা চলছে তা সত্যি অভাবনীয়। নির্দল প্রার্থীর বাবা খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত নেতা এবং যিনি স্বয়ং জনসভায় ঘোষণা করছেন তিন তিন জনকে পায়ের তল দিয়ে খুন করেছেন তাঁদের ওপর মুখ্যমন্ত্রী আশীর্বাদ রয়েছে।” বিজেপির বোলপুর ব্লক সভাপতি উজ্জ্বল মজুমদার বলেন, “খুনিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নিতে আন্দোলনে নামবে বিজেপি।” দলের জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল জানান, “আমি কি বলেছি খতিয়ে না দেখে পুলিশ জামিন অযোগ্য মামলা দিল। প্রকাশ্যে খুনিরা ঘুরছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।” এ দিনের স্মরণ সভায় জেলা নেতৃত্বের পাশাপাশি হাজির ছিলেন বিশ্বভারতীর কৃষিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক দুলাল ঘোষ, জেলার অন্যতম দুই সহ-সভাপতি কামিনী মোহন সরকার ও দিলিপ ঘোষ প্রমুখ।
অন্য দিকে, এ দিনই চার জন পার্টি সদস্য সহ তিন শতাধিক কর্মী সমর্থক সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিল। ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের ডাবুক পঞ্চায়েতের ঘটনা। কয়েকদিন আগে সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য শিবদাস লেটের নেতৃত্বে ময়ূরেশ্বর থানা এলাকার কর্মী সমর্থক বিজেপি তে যোগ দেন। এ দিনও সংশ্লিষ্ট হাজিপুর লোকাল কমিটি সদস্য তথা তিনবারের সিপিএম পঞ্চায়েত প্রধান ফরিদার রহমান তিন শতাধিক কর্মী সমর্থক নিয়ে তাঁদের দলে যোগ দেন বলে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি। স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি অর্জুন সাহা জানান, তাঁদের দলে যোগ দেওয়া ওই সব সিপিএম কর্মী সমর্থকদের দলে স্বাগত। ভোটের পর থেকেই বিভিন্ন দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy