ধর্নায় রিনা গোপ। —নিজস্ব চিত্র।
স্বামীর ঘরে ঢোকার দাবিতে শ্বশুরবাড়ির দরজার বাইরে ধর্নায় বসলেন এক যুবতী। অভিযোগ, সদ্যবিবাহিতা ওই যুবতী স্বগোত্রের হওয়ায় তাঁকে ঘরের বউ বলে মেনে নিতে রাজি নন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ নিয়ে ঝামেলা শুরু হলে বিয়ের পর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যান স্বামী। তবে নাছোড় বধূ নিজের দাবিতে অনড়। সোমবার রাতে বিয়ের পর থেকেই ধর্নায় বসেছেন তিনি।
পুরুলিয়ার কেন্দা থানার দরোডি গ্রামের এই ঘটনার জল গড়িয়েছে থানাপুলিশ পর্যন্ত। যদিও কেন্দা থানার এক আধিকারিকের দাবি, ‘‘শ্বশুরবাড়িতে ঢোকার জন্য ধর্নায় বসেননি ওই যুবতী। বরং তাঁকে মারধর করার অভিযোগ জমা পড়েছে। তারই তদন্ত শুরু করেছি আমরা।’’
স্থানীয়দের দাবি, স্বামী পরিত্যক্তা রিনা গোপের সঙ্গে এলাকার যুবক নীলকমল গোপের প্রায় দু’বছর ধরে প্রেম। তবে দু’জনে একই গোত্রের হওয়ায় নীলকমলের পরিবার তাঁদের সম্পর্ক মেনে নিতে চাননি।
সোমবার রাতে গোটা গ্রামের সামনে রিনার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করেন কলেজপড়ুয়া নীলকমল। এর পর রিনাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। তবে এই বিয়ে মানতে নারাজ নীলকমলের বাড়ির লোকজন। নবদম্পতিকে ঘরেই তুলতে চাননি নীলকমলের ঠাকুরমা। বৃদ্ধার আপত্তির পর শুরু হয় ঝামেলা। অভিযোগ, সে সময় নববধূকে মারধরও করেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
এই ডামাডোলের মাঝে নববধূকে ছেড়ে বেপাত্তা হয়েছেন নীলকমল। সোমবার রাত থেকেই স্বামীর ঘরে প্রবেশের দাবি নিয়ে শ্বশুরবাড়ির দরজার বাইরে বসে পড়েন রিনা।
এই ঘটনার বিচার চেয়ে স্থানীয় কেন্দা থানার দ্বারস্থ হন রিনার পরিবারের লোকজন। রিনার দাদা মৃত্যুঞ্জয় গোপ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy