পুরুলিয়ায় নামল পারদ। —ফাইল চিত্র।
খানিক দেরিতে হলেও অবশেষে শীত এসে হাজির হল পুরুলিয়ায়। জেলা কৃষি দফতরের তথ্য বলছে, বৃহস্পতিবার ছিল চলতি মরসুমের শীতলতম দিন। পারদ নেমেছিল ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে গত বুধবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি ছোঁয়ার পরে দ্রুত গতিতে নামে পারদ। শুক্রবারেও তা ছিল ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এক ধাক্কায় প্রায় আড়াই ডিগ্রি তাপমাত্রা কমায় শীতের পরশ ভালই অনুভব করছেন মানুষজন। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বাঁকুড়ায় এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সাধারণ ভাবে, অক্টোবরের শেষ থেকে পুরুলিয়া জেলায় তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নীচে নামার চল রয়েছে। গত বছরেও ২৮ অক্টোবর জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জাহাজপুর কল্যাণ কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের আবহাওয়া বিভাগের মুখপাত্র সুদীপ্ত ঠাকুর জানান, এ বারে বেশ দেরিতে শীত এসেছে। মাঝে নিম্নচাপের জেরে ঠান্ডা বাতাস ঢুকতে পারেনি। পাশাপাশি, উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণেও তা বাধা পাচ্ছে।
আলমারি, দেরাজ থেকে বেরিয়ে পড়েছে কম্বল, সোয়েটার থেকে টুপি বা কমফোর্টার। রোদের তেজও যেন তেমন মালুম হচ্ছে না। পুরুলিয়ার ট্যাক্সিস্ট্যান্ডের চা দোকানি সোমনাথ সেন বলেন, “চায়ের বিক্রি বেশ বেড়ে গিয়েছে। এত ঠান্ডা পড়েছে, চা-ও যেন তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়ে হয়ে যাচ্ছে।” ভোর সাড়ে চারটেয় রুটে বাস নিয়ে বেরোনো এক বাসকর্মী তপন কুম্ভকারের কথায়, “ঠান্ডা যে ভালই পড়েছে, ভোরে বেরোনোর সময়ে টের পাচ্ছি। এত দিন এমন ঠান্ডা লাগছিল না।” জেলা কৃষি দফতরের উপ-অধিকর্তা আদিত্যপ্রসাদ দুয়ারি জানান, গত মঙ্গলবার থেকে জেলার তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি বা তার নীচে রয়েছে। ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy