পাইকরে দলীয় কার্যালয়ে নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েতের তিনজন কংগ্রেস প্রার্থী যোগদান করছেন তৃণমূলে। — নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল না জোট—টসের উপরে নির্ভর করছে পঞ্চায়েত কে দখল করবে। এ নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে মুরারই ২ ব্লকের নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েতে।
নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েতে ২২টি আসন। ভোটে এর মধ্যে তৃণমূল ৮টি, সিপিএম ৮টি এবং কংগ্রেস ৬টি আসনে জিতেছিল।
নিয়ম মেনে পঞ্চায়েত জোটের দখলে আসার কথা। কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাইকরে তৃণমূল কার্যালয়ে বিধায়ক মোশারফ হোসেনের উপস্থিতিতে কংগ্রেসের তিন জন জয়ী প্রার্থী তৃণমূলে যোগদান করেন। ফলে, দু’পক্ষের আসন সংখ্যা ১১-এ দাঁড়িয়েছে।
তৃণমূল জানিয়েছে, জগন্নাথপুর বুথের সুলতা মণ্ডল, আড়াইল গ্রামের অসিত হালদার ও শিশ মহম্মদ তাঁদের দলে যোগদান করেছেন। এর পরেই কে পঞ্চায়েতের দখল নেবে তাই নিয়ে তৃণমূল ও জোটের তৎপরতা শুরু হয়েছে।
জোটের নেতৃত্বের অভিযোগ তৃণমূল ও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূলের যে সব কর্মীরা প্রার্থী পদ না পেয়ে কংগ্রেসের ছাতার তলায় এসেছিলেন তাঁরাই তৃণমূলে যোগদান করছেন।
তাঁদের দাবি, দলের বাকি ১১ সদস্য সুরক্ষিত জায়গায় আছেন। পঞ্চায়েত গঠনের দিন সব বোঝা যাবে।
কংগ্রেসের জেলা সহ সভাপতি আশিফ ইকবাল বলেন, "জয়ী প্রার্থীদের ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে যোগদানের চেষ্টা করছে তৃণমূল। কেন্দ্রে জোট আর বাংলায় অত্যাচার। তৃণমূলের এই আদর্শ কোনও ভাবেই মেনে নিচ্ছেন না গ্রামাঞ্চলের কর্মীরা। নির্যাতন ও ভয় দেখানোর পরে অনেক প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
নন্দীগ্রামের বাকি জয়ী প্রার্থীরা সুরক্ষিত জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। প্রয়োজনে টসেই পঞ্চায়েতের ভাগ্য নির্ধারণ হবে।"
মোশারফ হোসেন বলেন, "কোনও জয়ী প্রার্থীকে ভয় বা প্রলোভন দেখিয়ে দলে নিয়ে আসা হচ্ছে না। তৃণমূলের উন্নয়নে শামিল হতেই নিজেরাই দলে যোগদান করছেন।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy