Advertisement
E-Paper

থাকবেন চার বিদেশি, কেমন হবে আইপিএলের ১০ দলের প্রথম একাদশ, জানাচ্ছে আনন্দবাজার অনলাইন

ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ধরে একটি ম্যাচে খেলতে পারেন ১২ জন। আইপিএলে প্রথম একাদশে থাকতে পারেন সর্বোচ্চ চার জন বিদেশি। সব দলেই প্রথম একাদশে থাকার মতো ১৫-১৬ জন খেলোয়াড় রয়েছেন।

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:৪৩
Share
Save

আইপিএলের নিলামে পছন্দের এবং প্রয়োজনীয় ক্রিকেটারদের কিনে নিয়েছে দলগুলি। সবচেয়ে কম ২০ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে দল তৈরি করেছে রাজস্থান রয়্যালস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সর্বোচ্চ ২৫ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে দল তৈরি করেছে চেন্নাই সুপার কিংস, পঞ্জাব কিংস এবং গুজরাত টাইটান্স। কেমন হতে পারে আগামী আইপিএলে দলগুলির প্রথম একাদশ।

একটি ম্যাচে খেলার সুযোগ পান ১১ জন। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ধরে ১২ জন। সুতরাং কাজটা কঠিন। সব দলেই প্রথম একাদশে থাকার মতো অন্তত ১৫-১৬ জন করে খেলোয়াড় রয়েছেন। একই পজিশনে খেলার মতো একাধিক ক্রিকেটারও রয়েছে দলগুলিতে। খেলানো যায় না চার জনের বেশি বিদেশি ক্রিকেটার। স্বাভাবিক ভাবেই কোচ, অধিনায়কদের জন্য বেশ কঠিন কাজ প্রথম একাদশ বেছে নেওয়া।

চেন্নাই সুপার কিংস

২৫ জন ক্রিকেটার নিয়ে দল তৈরি করেছেন চেন্নাই কর্তৃপক্ষ। ২০ ওভারের ক্রিকেটের চাহিদা মেনে ১১জন অলরাউন্ডার নিয়েছেন তাঁরা। বিশেষজ্ঞ ব্যাটার রয়েছেন পাঁচ জন। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার দু’জন আর দলে বিশেষজ্ঞ বোলার রয়েছেন সাত জন। দেখে নেওয়া যাক, কেমন হতে পারে চেন্নাইয়ের প্রথম একাদশ। ওপেনার হিসাবে খেলার সম্ভাবনা রুতুরাজ গায়কোয়াড় এবং ডেভন কনওয়ের। রুতুরাজ অধিনায়ক, তিনি খেলবেনই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সফল কনওয়েও থাকবেন। তৃতীয় ওপেনার হিসাবে চেন্নাইয়ে তেমন কেউ নেই। তিন নম্বরে আসতে পারেন রাচিন রবীন্দ্র। নিউ জ়িল্যান্ডের অলরাউন্ডার উপরের দিকে ব্যাট করতে পারেন। গত মরসুমেও তাঁকে তিন নম্বরে নামিয়ে সাফল্য পেয়েছিল চেন্নাই। চার নম্বর জায়গা বিশেষজ্ঞ ব্যাটারের। এই জায়গায় নিঃসন্দেহে প্রথম পছন্দ হবেন রাহুল ত্রিপাঠি। আন্দ্রে সিদ্ধার্থ বা শেখ রাশিদের সম্ভাবনা কম। ব্যাটিং অর্ডারের পাঁচ এবং ছয় নামবেন দুই অলরাউন্ডার শিবম দুবে এবং রবীন্দ্র জাডেজা। দলে ১১ জন অলরাউন্ডার থাকলেও ক্রিকেটীয় দক্ষতা এবং ভারতীয় পিচের নিরিখে বাকি খানিকটা পিছিয়ে। এই দু’জনের কেউ চোট পেলে খেলতে পারেন স্যাম কারেন বা দীপক হুডার মধ্যে এক জন। ব্যাটিং অর্ডারের সাত নম্বর জায়গায় নিশ্চিত মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। তাঁর কোনও বিকল্প নেই। ধোনি একান্তই খেলতে না পারলে সুযোগ পাবেন দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক বংশ বেদী। ব্যাটিং অর্ডারের আট নম্বরে থাকার সম্ভাবনা রবিচন্দ্রন অশ্বিনের। তাঁকে টপকে প্রথম একাদশে জায়গা করে নেওয়ার মতো স্পিনার দলে নেই। তা ছাড়া জাডেজা তো খেলছেনই। ব্যাটিং অর্ডারের শেষ তিনটি জায়গায় দেখা যেতে পারে খলিল আহমেদ, নুর আহমেদ এবং মাথিসা পাতিরানাকে। ওপেনিং ছাড়া চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় দুর্বলতার জায়গা হল ভাল ভারতীয় জোরে বোলারের অভাব। খলিলের খেলা তাই নিশ্চিত। পাতিরানা চেন্নাইয়ের জার্সিতে যথেষ্ট সফল এবং দলের আস্থাভাজন। তিনিও খেলবেন। পিচের চরিত্র বুঝে নুরের পরিবর্তে খেলতে পারেন নাথান এলিস। পারফরম্যান্সের নিরিখে প্রথম একাদশে বাকিদের আসা কঠিন। কেউ চোট পেলে অবশ্য অন্য কথা।

চেন্নাইয়ের সম্ভাব্য প্রথম একাদশ: রুতুরাজ গায়কোয়াড় (অধিনায়ক), ডেভন কনওয়ে, রাচিন রবীন্দ্র, রাহুল ত্রিপাঠি, শিবম দুবে, রবীন্দ্র জাডেজা, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (উইকেটরক্ষক), রবিচন্দ্রন অশ্বিন, খলিল আহমেদ, নুর আহমেদ, মাথিসা পাতিরানা।

দিল্লি ক্যাপিটালস

দিল্লিতে রয়েছেন চার জন বিশেষজ্ঞ ব্যাটার, চার জন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার, ন’জন অলরাউন্ডার, ছ’জন বোলার। এ বার বেশ শক্তিশালী দল তৈরি করেছে দিল্লি। প্রথম একাদশ বেছে নেওয়া বেশ কঠিন। ওপেনার হিসাবে থাকবেন লোকেশ রাহুল। তিনিই সম্ভবত দলকে নেতৃত্ব দেবেন। তিনি উইকেটরক্ষকের দায়িত্বও সামলাবেন না। ওপেনিংয়ে তাঁর সঙ্গী হওয়ার সম্ভাবনা ফ্যাফ ডুপ্লেসি অথবা জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগুর্কের। অভিজ্ঞতার নিরিখে এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা ডুপ্লেসির। তিন নম্বরে নামতে পারেন হ্যারি ব্রুক। করুণ নায়ারের থেকে তিনি এগিয়ে থাকবেন। চার নম্বরে নামতে পারেন অভিষেক পোড়েল। উইকেটরক্ষক হিসাবে তারই খেলার সম্ভাবনা বেশি। পাঁচ নম্বরে আসতে পারেন আর এক উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ট্রিস্টান স্টাবস। ছ’নম্বরে অলরাউন্ডার অভিষেক শর্মা। দলের বাকি অলরাউন্ডারদের থেকে তিনি এগিয়ে রয়েছেন। উল্লেখ্য, দিল্লির কোনও বিদেশি অলরাউন্ডার নেই। সাত নম্বরে অক্ষর পটেলের খেলা নিয়ে সংশয় নেই। স্পিনের বিকল্প বাড়াতে আট নম্বরে আসতে পারেন কুলদীপ যাদব। দলে তিনিই একমাত্র বিশেষজ্ঞ ভারতীয় স্পিনার। ভারতীয় পেলারদের মধ্যে মোহিত শর্মার থেকে এগিয়ে থাকবেন মুকেশ কুমার এবং টি নটরাজন। তাঁরা ব্যাট করতে নামবেন নয় এবং এগারো নম্বরে। মাঝের দশ নম্বর জায়গায় আসতে পারেন মিচেল স্টার্ক। দুষ্মন্ত চামিরা থাকলেও অস্ট্রেলীয়র খেলার সম্ভাবনাই বেশি।

দিল্লির সম্ভাব্য প্রথম একাদশ: লোকেশ রাহুল (অধিনায়ক), ফ্যাফ ডুপ্লেসি, হ্যারি ব্রুক, অভিষেক পোড়েল, ট্রিস্টান স্টাবস, আশুতোষ শর্মা, অক্ষর পটেল, কুলদীপ যাদব, মুকেশ কুমার, মিচেল স্টার্ক, টি নটরাজন।

গুজরাত টাইটান্স

তিন বিশেষজ্ঞ ব্যাটার, তিন জন উইকেটরক্ষক ব্যাটার, ১২ জন অলরাউন্ডার এবং সাত জন বিশেষজ্ঞ বোলার রয়েছেন দলে। অধিনায়ক শুভমন গিলের সঙ্গে ওপেন করতে পারেন জস বাটলার। শুরুতে এই জুটির বিকল্প নেই গুজরাতের। উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব সামলাতে হতে পারে বাটলারকে। তিন নম্বরে আসবেন সাই সুদর্শন। চার নম্বরে আসতে পারেন অলরাউন্ডার শাহরুখ খান। পাঁচ নম্বরে খেলার সম্ভাবনা আর এক বিশেষজ্ঞ ব্যাটার গ্লেন ফিলিপস। ছ’নম্বরে নামতে পারেন রাহুল তেওয়াটিয়া। সাত নম্বরে রশিদ খান এবং আট নম্বরে ওয়াশিংটন সুন্দর। এই তিন অলরাউন্ডারের খেলার সম্ভাবনাই বেশি ভারতীয় পিচ, পারফরম্যান্স এবং দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারের সংখ্যার নিরিখে। অলরাউন্ডারদের দিয়ে স্পিন বোলিং আক্রমণ সাজিয়ে নিতে পারবে গুজরাত। শেষ তিনটি জায়গা তাই জোরে বোলারদের। এক জনের বেশি বিদেশি নেওয়ার সুযোগ নেই। সেই জায়গার জন্য লড়াই জেরাল্ড কোয়েৎজে এবং কাগিসো রাবাডার। কোয়েৎজে খেললে আসবেন ব্যাটিং অর্ডারের নয় নম্বরে। রাবাডা খেললে নামবেন ১১ নম্বরে। ব্যাটের হাত ভাল হওয়ায় সম্ভাবনা বেশি কোয়েৎজের। বাকি দু’টি জায়গায় ভারতীয় বোলার হিসাবে থাকবেন মহম্মদ সিরাজ এবং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ।

গুজরাতের সম্ভাব্য প্রথম একাদশ: শুভমন গিল (অধিনায়ক), জস বাটলার (উইকেটরক্ষক), সাই সুদর্শন, শাহরুখ খান, গ্লেন ফিলিপস, রাহুল তেওয়াটিয়া, ওয়াশিংটন সুন্দর, রশিদ খান, জেরাল্ড কোয়েৎজে, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, মহম্মদ সিরাজ।

লখনউ সুপার জায়ান্টস

লখনউ কর্তৃপক্ষ দল তৈরি করেছেন পাঁচ জন বিশেষজ্ঞ ব্যাটার, তিন জন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার, ছ’জন অলরাউন্ডার এবং ১০ জন বিশেষজ্ঞ বোলারকে নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার মিচেল মার্শ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ওপেন করেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যথেষ্ট সফল মার্শ। সঙ্গে বাড়তি পাওনা মার্শের মিডিয়াম পেস। ওপেনিংয়ে মার্শের সঙ্গী হতে পারেন পন্থ। ওপেন করতে পারেন এডেন মার্করাম। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক বল হাতেও মন্দ নন। প্রয়োজনে দলকে নেতৃত্বও দিতে পারবেন। এ ছাড়াও দলে রয়েছেন ম্যাথু ব্রিজ়কে। তবে পন্থের পছন্দের জায়গা তিন নম্বর। ওপেনার হিসাবে লখনউয়ে রয়েছেন অরুণ জুয়েল, আর্শিন কুলকার্নি এবং যুবরাজ চৌধরিও। তাঁদের খেলার সম্ভাবনা কম। ব্যাটিং অর্ডারে চার নম্বরে থাকবেন নিকোলাস পুরান। দরকারে উইকেট রক্ষা করতে পারবেন। ব্যাটিং অর্ডারের পাঁচ নম্বরে আর এক বিদেশিকে দেখা যেতে পারে। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার। বড় শট নিতে দক্ষ মিলার। লখনউয়ের মিডল অর্ডারকে ভরসা দিতে পারেন। ফিনিশার হিসাবে তাঁর সঙ্গে ব্যাটিং অর্ডারের ছ’নম্বরে থাকতে পারেন আয়ুষ বাদোনি। অলরাউন্ডার আব্দুল সামাদকেও সম্ভবত সাত নম্বরে আসবেন। লখনউয়ে স্পিন বিভাগকেও অবহেলা করা যাবে না। রবি বিশ্নোইয়ের মতো ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে লখনউ। তবে ব্যাটিং অর্ডারের আট নম্বরে শাহবাজ় আহমেদকে খেলাতেই পারে লখনউ। ন’নম্বরে নামবেন বাংলার আর এক ক্রিকেটার আকাশ দীপ। তিনি এখন দেশের অন্যতম সেরা জোরে বোলারও। ১০ নম্বরে আসবেন বিশ্নোই। ১১ নম্বরে মায়াঙ্ক যাদবের খেলার সম্ভাবনাই বেশি।

লখনউয়ের সম্ভাব্য প্রথম একাদশ: মিচেল মার্শ, ঋষভ পন্থ (অধিনায়ক-উইকেটরক্ষক), এডেন মার্করাম, নিকোলাস পুরান, ডেভিড মিলার, আয়ুষ বাদোনি, আব্দুল সামাদ, শাহবাজ় আহমেদ, আকাশ দীপ, রবি বিশ্নোই, মায়াঙ্ক যাদব।

মুম্বই ইন্ডিয়ান্স

চার জন বিশেষজ্ঞ ব্যাটার, তিন জন উইকেটরক্ষক ব্যাটার, ছ’জন অলরাউন্ডার, ১০ জন বিশেষজ্ঞ বোলার রয়েছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। ওপেনার হিসাবে রোহিত শর্মার খেলা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। তাঁর সঙ্গী হবেন সম্ভবত অলরাউন্ডার উইল জ্যাক। তিনি ছাড়া তেমন কেউ ওপেন করার মতো নেই দলে, যাঁকে প্রথম পছন্দ হিসাবে খেলানো যেতে পারে। ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বর থেকে পাঁচ নম্বরে পর পর আসবেন তিলক বর্মা, সূর্যকুমার যাদব এবং হার্দিক পাণ্ড্য। মুম্বই দলের নিউক্লিয়াস এটাই। ছ’নম্বরে থাকতে পারেন আর এক অলরাউন্ডার নমন ধীর। উইকেটরক্ষক হিসাবে খেলার সম্ভাবনা বেশি রবিন মিঞ্জের। তিনি আসবেন ব্যাটিং অর্ডারের সাতে। আট নম্বর জায়গায় দেখা যেতে পারে বিদেশি অলরাউন্ডার মিচেল স্যান্টনারকে। ব্যাটিং অর্ডারের ন’নম্বরে নামতে পারেন আফগান অলরাউন্ডার আল্লাহ গজ়নাফর। ব্যাটিং অর্ডারের শেষ দু’টি জায়গা দুই জোরে বোলারের। সম্ভবত আগামী আইপিএলের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পেস জুটি ট্রেন্ট বোল্ট এবং যশপ্রীত বুমরা।

মুম্বইয়ের সম্ভাব্য প্রথম একাদশ: রোহিত শর্মা, জ্যাক উইলস, তিলক বর্মা, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পাণ্ড্য (অধিনায়ক), নমন ধীর, রবিন মিঞ্জ (উইকেটরক্ষক), মিচেল স্যান্টনার, আল্লাহ গজ়নাফর, ট্রেন্ট বোল্ট, যশপ্রীত বুমরা।

পঞ্জাব কিংস

পাঁচ জন বিশেষজ্ঞ ব্যাটার, তিন জন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার, ১০ জন অলরাউন্ডার এবং সাত জন বিশেষজ্ঞ বোলারকে নিয়ে দল তৈরি করেছেন পঞ্জাব কর্তৃপক্ষ। অধিনায়ক হিসাবে দেখা যেতে পারে শ্রেয়স আয়ারকে। তিনি ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বরে থাকবেন। ওপেনার হিসাবে খেলার সম্ভাবনা প্রভসিমরন সিংহ এবং জশ ইংলিশের। দু’জনেই উইকেট রক্ষা করতে পারেন। চার নম্বরে খেলতে পারেন নেহাল ওয়াধেরা বা মুশির খান। তবে নেহালের সম্ভাবনাই বেশি। পাঁচ নম্বরে খেলার সম্ভাবনা অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের। ব্যাটিং অর্ডারের পরে তিনটি জায়গাও থাকবে অলরাউন্ডারদের দখলে। অভিজ্ঞতা এবং পারফরম্যান্সের নিরিখে ব্যাটিং অর্ডারের ছয় থেকে আট নম্বরে নামতে পারেন মার্কাস স্টোইনিস, শশাঙ্ক সিংহ এবং মার্কো জানসেন। সব ঠিক থাকলে ব্যাটিং অর্ডারের ১০ এবং ১১ নম্বরে আরশদীপ সিংহ এবং যুজবেন্দ্র চহালের খেলা এক রকম নিশ্চিত। তবে ন’নম্বর জায়গায় নিয়ে লড়াই হতে পারে। হরপ্রীত ব্রারের সঙ্গে লড়াইয়ে থাকতে পারেন কুলদীপ সেন। যদিও অলরাউন্ডার হিসাবে হরপ্রীতের সম্ভাবনাই বেশি।

পঞ্জাবের সম্ভাব্য প্রথম একাদশ: প্রভসিমরন সিংহ (উইকেটরক্ষক), জশ ইংলিশ, শ্রেয়স আয়ার (অধিনায়ক), নেহাল ওয়াধেরা, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টোইনিস, শশাঙ্ক সিংহ, মার্কো জানসেন, হরপ্রীত ব্রার, আরশদীপ সিংহ, যুজবেন্দ্র চহাল।

রাজস্থান রয়্যালস

চার জন বিশেষজ্ঞ ব্যাটার, তিন জন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার, তিন জন অলরাউন্ডার এবং ১০ জন বোলারকে নিয়ে দল তৈরি করেছেন রাজস্থান কোচ রাহুল দ্রাবিড়। অলরাউন্ডারের অভাব ভোগাতে পারে রাজস্থানকে। ওপেনিং জুটি নিয়ে কোনও সংশয় নেই রাজস্থানের। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের সঙ্গে নামবেন যশস্বী জয়সওয়াল। তিন নম্বরে রিয়ান পরাগের খেলাও নিশ্চিত। ব্যাটিং অর্ডারের চার নম্বরে খেলার সম্ভাবনা কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রাক্তন অধিনায়ক নীতীশ রানার। পাঁচ নম্বরে খেলতে পারেন ধ্রুব জুরেল। তবে তিনি সম্ভবত উইকেট রক্ষা করবেন না। খেলবেন বিশেষজ্ঞ ব্যাটার হিসাবেই। ব্যাটিং অর্ডারের ছ’নম্বরে খেলার সম্ভাবনা শিমরন হেটমেয়ারের। সাত নম্বরে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গকে দেখা যেতে পারে। আট নম্বরে আসতে পারেন শ্রীলঙ্কারই মাহিশ থিকশানা। ব্যাটিং অর্ডারের ন’নম্বরে জফ্রা আর্চারের বিকল্প নেই রাজস্থানের হাতে। ১০ এবং ১১ নম্বর জায়গার জন্য লড়াইয়ে থাকবেন আকাশ মাধেওয়াল, সন্দীপ শর্মা, কুমার কার্তিকেয়, তুষার দেশপাণ্ডে। সন্দীপকে ধরে রেখেছে রাজস্থান। তাই ১১ নম্বরে সম্ভবত তাঁকেই দেখা যাবে। ১০ নম্বর জায়গায় আকাশের সঙ্গে মূল লড়াই হবে তুষারের। পারফরম্যান্সের নিরিখে কিছুটা এগিয়ে আকাশ।

রাজস্থানের সম্ভাব্য প্রথম একাদশ: সঞ্জু স্যামসন (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), যশস্বী জয়সওয়াল, রিয়ান পরাগ, নীতীশ রানা, ধ্রুব জুরেল, শিমরন হেটমেয়ার, ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গ, মাহিশ থিকশানা, জফ্রা আর্চার, আকাশ মাধেওয়াল, সন্দীপ শর্মা।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু

চার জন বিশেষজ্ঞ ব্যাটার, দু’জন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার, সাত জন অলরাউন্ডার এবং ন’জন বিশেষজ্ঞ বোলারকে নিয়ে দল তৈরি করেছেন বেঙ্গালুরু কর্তৃপক্ষ। আবার বেঙ্গালুরু নেতৃত্বে দেখা যেতে পারে বিরাট কোহলিকে। তিনি ওপেনও করতে পারেন। শুরুতে তাঁর সঙ্গী হতে পারেন ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ফিল সল্ট। গত মরসুমে সল্ট কেকেআরের ভরসা হয়ে উঠেছিলেন। ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বরে নামতে পারেন রজত পাটিদার। চার নম্বরে দেখা যেতে পারে লিয়াম লিভিংস্টোনকে। তাঁর লড়াই রোমারিয়ো শেফার্ডের সঙ্গে। ব্যাটিং অর্ডারের পাঁচ নম্বরে নামতে পারেন ক্রুণাল পাণ্ড্য। ছয় নম্বরে জীতেশ শর্মাকে দেখা যেতে পারে। লড়াইয়ে থাকবেন দেবদত্ত পাল্লিকালও। ব্যাটিং অর্ডারের সাত নম্বরে খেলতে পারেন অলরাউন্ডার টিম ডেভিড। বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং লেজ তুলনায় বড় হতে পারে। আট নম্বরে দেখা যেতে পারে ভুবনেশ্বর কুমারকে। ব্যাটিং অর্ডারের ন’নম্বরে দেখা যেতে পারে কেকেআরের প্রাক্তন রহস্য স্পিনার সুযশ শর্মাকে। ১০ নম্বরে নামবেন যশ দয়াল। ১১ নম্বরে জশ হেজ়লউডের খেলা প্রায় নিশ্চিত। যদিও লড়াইয়ে থাকবেন লুঙ্গি এনগিডি, নুয়ান তুষারা।

বেঙ্গালুরুর সম্ভাব্য প্রথম একাদশ: বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), ফিল সল্ট (উইকেটরক্ষক), রজত পাটিদার, লিয়াম লিভিংস্টোন, ক্রুণাল পাণ্ড্য, জীতেশ শর্মা, টিম ডেভিড, ভুবনেশ্বর কুমার, সুযশ শর্মা, যশ দয়াল, জশ হেজ়লউড।

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ

চার জন বিশেষজ্ঞ ব্যাটার, দু’জন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার, সাত জন অলরাউন্ডার এবং সাত জন বিশেষজ্ঞ বোলারকে নিয়ে দল তৈরি করেছেন কাব্য মারানেরা। হায়দরাবাদের ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম চারটি জায়গা নিয়ে তেমন প্রশ্ন নেই। দুই ওপেনার ট্র্যাভিস হেড এবং অভিষেক শর্মা। তিন নম্বরে আসবেন ঈশান কিশন। ব্যাটিং অর্ডারের চার নম্বরে দেখা যেতে পারে হেনরিক ক্লাসেনকে। পাঁচ নম্বরে খেলতে পারেন নীতীশ রেড্ডি। ছ’নম্বরে খেলার সম্ভাবনা বেশি অভিনব মনোহরের। তাঁর সঙ্গে লড়াইয়ে থাকবেন অথর্ব তাইডে এবং সচিন বেবি। যদিও অভিনবেরই প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত। ব্যাটিং অর্ডারের সাত নম্বরে দেখা যেতে পারে অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে। আট নম্বরে স্পিনার রাহুল চাহারের খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ তাঁর ব্যাটের হাত খারাপ নয়। ন’নম্বরে আসতে পারেন হর্ষল পটেল। তাঁর প্রথম একাদশে থাকা নিয়ে সংশয় নেই। ১০ নম্বরে অবশ্যই থাকবেন মহম্মদ শামি। তাঁর উপযুক্ত বিকল্প নেই হায়দরাবাদের কাছে। জয়দেব উনাদকাট থাকলেও তাঁর খেলার সম্ভবনা কম শামিকে সরিয়ে। ব্যাটিং অর্ডারের ১১ নম্বরে আসতে পারেন অ্যাডাম জ়াম্পা। তাঁকে লড়াইয়ে ফেলতে পারেন শ্রীলঙ্কার কামিন্দু মেন্ডিস।

হায়দরাবাদের সম্ভাব্য প্রথম একাদশ: ট্র্যাভিস হেড, অভিষেক শর্মা, ঈশান কিশন (উইকেটরক্ষক), হেনরিক ক্লাসেন, নীতীশ রেড্ডি, অভিনব মনোহর, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), রাহুল চাহার, হর্ষল পটেল, মহম্মদ শামি, অ্যাডাম জ়াম্পা/কামিন্দু মেন্ডিস।

কলকাতা নাইট রাইডার্স

চার জন বিশেষজ্ঞ ব্যাটার, তিন জন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার, সাত জন অলরাউন্ডার এবং সাত জন বিশেষজ্ঞ বোলারকে নিয়ে দল তৈরি করেছে শাহরুখ খানের কেকেআর। ওপেনার হিসাবে এ বারও দেখা যেতে পারে সুনীল নারাইনকে। তাঁর সঙ্গে শুরুতে আসতে পারেন কুইন্টন ডিকক। সল্টের বিকল্প হয়ে উঠতে পারেন দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। লড়াইয়ে থাকবেন আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ়ও। তবে ক্রিকেটীয় দক্ষতা, অভিজ্ঞতায় কিছুটা এগিয়ে ডিকক। ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বরে দেখা যেতে পারে অঙ্গকৃশ রঘুবংশীকে। তাঁর লড়াই অজিঙ্ক রাহানে এবং মণীশ পাণ্ডের সঙ্গে। চার নম্বরে এক রকম নিশ্চিত বেঙ্কটেশ আয়ার। তিনি এ বার কলকাতাকে নেতৃত্বও দিতে পারেন। কারণ ২০২৩ সালে নীতীশ অধিনায়ক থাকার সময় বেঙ্কটেশ ছিলেন সহ-অধিনায়ক। ব্যাটিং অর্ডারের পাঁচ নম্বরে রমনদীপ সিংহের খেলা নিয়েও প্রশ্ন নেই। ছয় এবং সাত নম্বরে জায়গা পাকা আন্দ্রে রাসেল এবং রিঙ্কু সিংহের। দু’জনেই ফিনিশার হিসাবে দলে থাকবেন। ব্যাটিং অর্ডারের আট নম্বরে খেলার সম্ভাবনা অস্ট্রেলিয়ার জোরে বোলার স্পেনসার জনসনের। তাঁর লড়াই দক্ষিণ আফ্রিকার অনরিখ নোকিয়ে এবং ইংল্যান্ডের মইন আলির সঙ্গে। ন’নম্বরে বৈভব অরোরার খেলাও প্রায় নিশ্চিত। এই জায়গায় সম্ভাবনা থাকবে উমরান মালিকেরও। ব্যাটিং অর্ডারের ১০ নম্বর জায়গায় নামবেন বরুণ চক্রবর্তী এবং ১১ নম্বরে হর্ষিত রানা। শেষ দু’জনেরও প্রথম একাদশে থাকা নিয়ে কোনও সংশয় নেই।

কলকাতার সম্ভাব্য প্রথম একাদশ: সুনীল নারাইন, কুইন্টন ডিকক (উইকেটরক্ষক), অঙ্গকৃশ রঘুবংশী, বেঙ্কটেশ আয়ার (অধিনায়ক), রমনদীপ সিংহ, আন্দ্রে রাসেল, রিঙ্কু সিংহ, স্পেনসার জনসন, বৈভব অরোরা, বরুণ চক্রবর্তী, হর্ষিত রানা।

IPL 2025 Probable Eleven T20 Cricket Teams BCCI

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}