বাঁ দিকে তৃণমূল প্রার্থী অতনু মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র।
সমনামী বিভ্রাট কাটিয়ে অবশেষে আসল অতনু মণ্ডলকে চিহ্নিত করলেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের তৃণমূল নেতারা। ওই অতনুই বিষ্ণুপুর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী। তাতেও অবশ্য গেরো কাটছে না। ‘ভুল সিদ্ধান্ত’ নেওয়া হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্য অতনু মণ্ডল।
বিষ্ণুপুর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে অতনু মণ্ডলকে। ওই ওয়ার্ডে দু’জনের নাম অতনু মণ্ডল। এক জন তৃণমূল কর্মী। অপর জন তৃণমূলেরই শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র কর্মী। নাম ঘোষণার পর থেকে দু’জনেই নিজেকে ‘আসল’ তৃণমূল প্রার্থী দাবি করতে শুরু করেন। যার জেরে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। বিভ্রাটে পড়েন স্থানীয় তৃণমূল নেতারাও। আসল প্রার্থী কোন অতনু মণ্ডল তা চিহ্নিত করতে তড়িঘড়ি সোমবার রাতে বৈঠকে বসেন নেতারা। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় তৃণমূল কর্মী অতনু নন আইএনটিটিইউসি কর্মী অতনুকে দল প্রার্থী করেছে। সমনামী বিতর্কের মীমাংসা হয়ে যাওয়ার পর আর দেরি করেননি ‘আসল’ অতনু। মঙ্গলবারই বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসকের দফতরে হাজির হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের নাম এক হওয়ায় ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। গত কাল তৃণমূল নেতৃত্ব আমাকে ফোন করে সেই ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়েছেন। আজ আমি মনোনয়ন জমা দিয়েছি। আগামী দিনে আমার লড়াইয়ে অপর অতনু মণ্ডলকে পাশে পাব, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।’’
স্থানীয় বিধায়ক তন্ময় ঘোষ বলেন, ‘‘কোন অতনু মণ্ডল আমাদের দলের প্রার্থী, তা নিয়ে একটু ধোঁয়াশা ছিল। আজ আর কোনও ধোঁয়াশা নেই। আইএনটিটিইউসি কর্মী অতনু মণ্ডলই আমাদের দলের প্রার্থী।’’
দল ‘আসল’ প্রার্থী চিনে নেওয়ার পর হতাশ অন্য অতনু। নির্দল প্রার্থী হিসাবে ওই ওয়ার্ড থেকে লড়াই করার হুঙ্কার দিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘দলীয় নেতৃত্ব কী ভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জানি না। আমার ধারণা, সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ণ ভুল। ওই অতনুকে কেউ চেনে না। আমি তাঁর হয়ে প্রচারে নামব না। আমি নির্দল প্রার্থী হয়ে জিতে দেখিয়ে দেব, কে ঠিক আর কে ভুল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy