ঘটনাস্থলে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-সহ অন্যান্য আধিকারিক। নিজস্ব চিত্র।
পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে আবারও অশান্তি ছড়াল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। বিশ্বভারতীর ভিতরে দূরদর্শন কেন্দ্রের পাশের রাস্তাতে পাঁচিল তোলা নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাক্বিতণ্ডায় জড়ালেন এলাকার বাসিন্দারা। বিশ্বভারতীর তরফে ওই রাস্তায় যাতে পাঁচিল না তোলা হয়, সেই দাবি জানিয়েই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। অন্য দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকেও পাঁচিল তোলার জন্য মরিয়া চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-সহ অন্যান্য আধিকারিক। ঘটনার জেরে এলাকাবাসীরা বেশ কিছু ক্ষণ ধরে বিক্ষোভ দেখান।
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর ভিতরে দূরদর্শন কেন্দ্রের পাশের রাস্তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল ওই এলাকার বাসিন্দাদের। এই রাস্তা বোলপুরবাসীদের যাতায়াতের অন্যতম একটি রাস্তা। প্রচুর মানুষ প্রতি দিন এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে আসতে তুলনামূলক ভাবে কম সময় লাগে বলে ক্যম্পাসের ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতেন চিত্রা মোড় এবং ত্রিশুলাপট্টি এলাকার মানুষেরাও। কিন্তু গত বছর পাঁচিল তুলে ওই রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয় বিশ্বভারতীর তরফে। যাতায়াতে অসুবিধা হবে বলে স্থানীয়দের তরফে অনুরোধ করা হলেও পাঁচিল তোলার কাজ বন্ধ হয়নি। তবে চলতি বছরে এলাকার মানুষ ক্ষোভের বশে ওই পাঁচিল ভেঙে আবার যাতায়াতের রাস্তা তৈরি করেছিলেন। এর পর থেকেই ওই রাস্তার মাঝে আবার পাঁচিল তোলার পরিকল্পনা করছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতি সকালে বিশ্বভারতীর তরফে ওই পাঁচিল তৈরি করতে গেলে বিশ্বভারতীর আধিকারিকদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন এলাকার মানুষেরা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা মিঠুন শামিম পাঁচিল তোলার কাজ হচ্ছে বলে প্রথম দেখতে পান। এর পর তিনিই গিয়ে এলাকার বাকি মানুষদের ডেকে আনেন। তাঁর কথায়, ‘‘এই রাস্তা বহু দিনের রাস্তা। আমাদের জন্মের আগের রাস্তা। সকালে আমি মেয়েকে স্কুলে দিতে গিয়ে দেখি কাজ চলছে। আমি কাজ বন্ধ করে দিই। আমারা চাইছি এই রাস্তায় যাতে পাঁচিল না দেওয়া হয়। এটা নিয়ে আগেও বিশ্বভারতীর সঙ্গে কথা বলতে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমাদের সঙ্গে কথা বলা হয়নি। এই রাস্তা নিয়ে মামলা চলছে জানিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলা হয়নি। এটা বিশ্বভারতীর নিজের জায়গা নয়। গোটা বোলপুরের একাধিক জায়গা বিশ্বভারতীর ঘিরে নিচ্ছে। রাস্তা না খুললে আমরা এখানেই আন্দোলন করব। এখানেই বসে থাকব।’’
যদিও এই বিষয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy