সকালে চাঁদিফাটা রোদ থাকলেও বিকেলে হালকা বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তি দিয়ে গেল পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায়। আবহাওয়ার এমন ভোলবদলে রবিবারের ছুটি মন্দ কাটল না জেলাবাসীরও।
আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী এ দিন পুরুলিয়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে সাত ডিগ্রি বেশি। ছিল তাপপ্রবাহের সর্তকতাও। তবে দুপুরে আকাশে মেঘ ঘনিয়ে আসে। মৃদু ঠান্ডা হাওয়া বইতে শুরু করে। বিকেল ৩টে নাগাদ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয় পুরুলিয়া শহর ও লাগোয়া এলাকা-সহ ঝালদা, আড়শায়। তবে রঘুনাথপুর ও মানবাজার মহকুমায় বৃষ্টি হয়নি।
চৈত্রের শুরুতে শনিবার পুরুলিয়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ছুঁয়ে ফেলে। এ দিন সকালে গত দু’দিনের মতো চড়া রোদ না থাকলেও গরম থেকে রেহাই মেলেনি। ট্রেনে ইন্দ্রবিল থেকে ঝালদা যাচ্ছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। তিনি বলেন, “পুরুলিয়া পর্যন্ত গরমে খুব কষ্ট পেয়েছি। তবে দুপুরে বৃষ্টি হওয়ার পরিবেশ মনোরম হয়ে ওঠে।” ঝালদা শহরের সনাতন লায়েক বলেন, “সকাল থেকে কাঠফাটা রোদে অস্বস্তি হচ্ছিল। বিকেলে বৃষ্টিতে গরম কিছুটা কমেছে।”
এ দিন বাঁকুড়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকাল সাড়ে ১০টার পরে জেলার হাট-বাজারগুলিতে তেমন ভিড় চোখে পড়েনি। বড়জোড়ায় একটি অনলাইন সংস্থার ডেলিভারি কর্মী রুবেল শেখ বলেন, “গরমে মোটরবাইক নিয়ে ঘুরতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।”
দুপুর দেড়টার পরে থেকে সেই অস্বস্তি কমে। বিকেলে কয়েক মিনিট শিলাবৃষ্টি ও ঝড় হয়েছে বিষ্ণুপুর ও জয়পুরে। শিলের আকার ছোট হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কিছুক্ষণ ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয় পাত্রসায়রে। পাত্রসায়রের অর্ক মুখোপাধ্যায় বলেন, “সকাল থেকে দাবদাহ ছিল। বিকেলের বৃষ্টিতে একটু স্বস্তি মিলেছে।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)