শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসব। —ফাইল চিত্র।
দোল উৎসব আগামী ২৫ মার্চ। হাতে সময় নেই বিশেষ। তবে, এ বছরও বিশ্বভারতী বসন্ত উৎসব করবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। বিশ্বভারতী তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি। ফলে,এ বারেও বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে বিভিন্ন মহল।
প্রসঙ্গত, ২০২০ ও ’২১ সালে করোনা অতিমারিরর কারণে এবং ২০২২ সালে বিশ্বভারতীতে ছাত্র আন্দোলনের কারণ দেখিয়ে বসন্ত উৎসব করেনি বিশ্বভারতী। গত বছরও নানা সমস্যার যুক্তি দেখিয়ে বসন্ত উৎসব করা হয়নি। শেষবার উৎসব বড় আকারে হয়েছিল ২০১৯ সালে। গত বছর ঘরোয়া ভাবে বসন্ত বন্দনার আয়োজন করেছিল বিশ্বভারতী। সেই অনুষ্ঠান থেকে ব্রাত্য রাখা হয়েছিল প্রাক্তনী, আশ্রমিক থেকে শুরু করে পর্যটকদেরও।
তবে, দীর্ঘ চার বছর পরে পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা হয়েছে গত বছর। ফলে, এ বারে বিশ্বভারতীর আগের মতো বসন্ত উৎসব করবে, এই আশায় বুক বেঁধেছেন শান্তিনিকেতন-বোলপুরের ব্যবসায়ীরা। দোল উৎসব উপলক্ষে এমনিতেই বোলপুর শান্তিনিকেতনে হোটেল ও রিসর্টগুলিতে বুকিং এখনই হয়ে গিয়েছে। তবু এলাকার ব্যবসায়ীদের মতে, বিশ্বভারতী বসন্ত উৎসব আযোজন করলে পর্যটকের ভিড় আরও উপচে পড়বে শান্তিনিকেতনে। তাতে লাভ হবে স্থানীয় অর্থনীতির।
তবে, বসন্ত উৎসব নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত কোনও উদ্যোগ না-দেখানোয় বা উৎসব নিয়ে বৈঠক না-হওয়ায় জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রবীণ আশ্রমিক তথা শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার বলেন, “বসন্ত উৎসব হল ছাত্র, কর্মী, অধ্যাপকদের উৎসব। তাঁরা কী ভাবে অনুষ্ঠান করবেন, সেটা তাঁদের ব্যাপারে। তবে এত অল্প সময়ের মধ্যে বড় আকারে উৎসব বিশ্বভারতী করতে পারবে কি না, তা নিয়ে আমাদেরও যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।” কর্মী, অধ্যাপকদের একাংশ বলছেন, ‘‘বসন্ত উৎসবের কোনও রকম মহড়া বা প্রস্তুতি শুরু না হওয়ায় কী হবে বোঝা যাচ্ছে না।’’ বিশ্বভারতীর সহকারী কর্মসচিব তথা ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিকের দায়িত্ব থাকা মলয় সূত্রধর বলেন, ‘‘বসন্ত উৎসব নিয়ে বৈঠক হবে কি না, হলে কবে হবে, তা নিয়ে আমার কিছু জানা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy