গত বছর নভেম্বরে কেন্দ্রীয় সরকার মিড-ডে মিলের জন্য বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছিল। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। মূল্যবৃদ্ধির কারণে আরও এক বার মিড-ডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। প্রাথমিক এবং উচ্চপ্রাথমিকে মাথাপিছু যথাক্রমে ৫৯ পয়সা এবং ৮৮ পয়সা বৃদ্ধি করা হল। যদিও এই পরিমাণ বৃদ্ধিতে তেমন খুশি নয় শিক্ষামহলের একাংশ। তাদের দাবি, পুষ্টিকর খাবারের জন্য বরাদ্দ আরও বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে। অনেকেরই সংশয়, বাজারে জিনিসপত্রের যা দাম, তাতে এই ‘সামান্য’ বৃদ্ধি দিয়ে কী ভাবে শিশুদের পাতে পুষ্টিকর খাবার তুলে দেওয়া যাবে?
২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে মিড-ডে মিলের জন্য বরাদ্দ বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। সে বার প্রাথমিকে মাথাপিছু বরাদ্দ করা হয়েছিল ৬ টাকা ১৯ পয়সা। আর উচ্চ প্রাথমিকে ৯ টাকা ২৯ পয়সা। তবে জিনিসপত্রের দাম যে ভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তাতে ওই সামান্য টাকায় কী হয়, প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। আরও বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিও উঠেছিল। মূল্যবৃদ্ধির কথা মাথায় রেখেই এ বার আরও কিছুটা অর্থ বরাদ্দ করল কেন্দ্র। প্রাথমিকে মাথাপিছু বরাদ্দ বেড়ে দাঁড়াল ৬ টাকা ৭৮ পয়সা। আর উচ্চপ্রাথমিকে ১০ টাকা ১৭ পয়সা।
আরও পড়ুন:
তবে এত ‘যৎসামান্য’ বৃদ্ধিতে খুশি নয় শিক্ষামহলের একাংশ। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘বর্তমান অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় সরকার মিড-ডে মিলের রান্নার খরচের বরাদ্দ কিছুটা বাড়িয়েছে। কিন্তু যে পরিমাণ অর্থ বাড়িয়েছে, তা চরম মূল্যবৃদ্ধির বাজারে খুব একটা কার্যকর হবে বলে মনে হয় না।’’ তাঁর দাবি, ‘‘প্রাথমিকের ক্ষেত্রে মাথাপিছু অন্তত ১০ টাকা এবং উচ্চপ্রাথমিকের ক্ষেত্রে ১৫ টাকা করা উচিত বলে আমরা মনে করি।’’ তবে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী। তবে তিনিও মনে করেন পুষ্টিকর আহারের ব্যয় বরাদ্দ আরও বৃদ্ধি করা উচিত। শুধু তা-ই নয়, বেশ কিছু শিক্ষক সংগঠন মিড-ডে মিলের রাঁধুনিদের জন্য ভাতা বৃদ্ধির দাবিও জানাচ্ছে।