ছবি: সংগৃহীত।
১৬ দিনের মাথায় জুন মাসের বেতন হাতে পেলেন বিশ্বভারতীর কর্মী-অধ্যাপকেরা। তা-ও পুরো বেতন নয়, অর্ধেক! একই ভাবে পেনশনভোগীরাও তাঁদের পেনশনের পুরো টাকা হাতে পাননি। এত দিন পর বেতন ও পেনশনের অর্ধেক টাকা পাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ওই কর্মী, অধ্যাপক-সহ পেনশনভোগীরা। এ নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকেই কার্যত কাঠগ়ড়ায় তুলেছেন তাঁরা। যদিও এত দিন ধরে বেতন বকেয়া রাখার পিছনে করোনা পরিস্থিতিকেই দায়ী করেছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কর্মী-অধ্যাপক বা পেনশনভোগীদের হাতে অর্ধেক বেতন বা পেনশন এলেও সাসপেন্ড হওয়া অধ্যাপকদের বেতনের জন্য আরও এক দিন অপেক্ষা করতে হবে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে শনিবার, ১৭ জুলাই তাঁদের বেতন দেওয়া হবে।
স্থায়ী শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী মিলিয়ে বিশ্বভারতীতে কর্মরত মোট ৩ হাজার ৩০০ জনের জুন মাসের বেতন থেকে বকেয়া ছিল। বাদ গিয়েছিলেন পেনশনভোগীরাও। তবে এত দিন পর বেতন ও পেনশন মিললেও তা কেন অর্ধেক, সে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্বভারতীর অধিকাংশরা। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের সংগঠন (ভিবিইউএফএ)-এর এক সদস্য বলেন, ‘‘বেতন মিলছে বটে। তবে তা অর্ধেক। বহু অধ্যপককে বেতনের ২০ হাজার টাকা কম দেওয়া হয়েছে। স্বল্প বেতনভুক্ত বা পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে তা ৫-৬ হাজার টাকা কম। কেন এ রকম হচ্ছে, সে প্রশ্ন তুললে তো সাসপেন্ড হতে হয়!’’
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীতে শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের জুন মাসের বকেয়া বেতন নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তা নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভিবিইউএফএ ওই সদস্য। তাঁর কথায়, ‘‘অর্ধেক বেতনে পাওয়ায় আমরা বিশ্বভারতীর উপাচার্যের উপর অসন্তুষ্ট। কিন্ত আনন্দবাজার অনলাইনকে ধন্যবাদ জানাই যে তাদের লাগাতার খবরের জেরেই হয়তো এই বেতন মিলেছে। একই সঙ্গে আমাদের মনে হচ্ছে যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের চাপে পড়েই হয়তো বেতন দিতে বাধ্য হয়েছেন উপাচার্য।’’
বকেয়া বেতন দিতে দেরি হওয়ার জন্য রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির কারণ দেখিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ১৫ জুলাই ফাইনান্স অফিসার, জয়েন্ট রেজিস্ট্রার, ডেপুটি রেজিস্ট্রার, কয়েক জন ইন্টারনাল অডিট অফিসার-সহ বেশ কয়েকটি ভবনের অধ্যপকদের নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের ভার্চুয়াল বৈঠকে দাবি করা হয়েছিল, রাজ্যে করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বেতন সংক্রান্ত তথ্যসমূহ একত্র করতে অসুবিধা হয়েছে। যদিও নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাক্তন এক আশ্রমিকের দাবি, ‘‘বিশ্বভারতীর নিজস্ব নিয়ম বহির্ভূত ভাবে আচার্য অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মনোনীত সদস্য দুলালচন্দ্র ঘোষকে ওই বৈঠকে ডাকা হয়নি। অথচ বিশ্বভারতীর নিয়মানুযায়ী, ওই বৈঠকে সকলের উপস্থিতির নিয়ম রয়েছে।’’ উপাচার্য নিজের ঘনিষ্ঠ অধ্যপকদের নিয়ে বৈঠক করে ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন বলে অভিযোগ বিশ্বভারতীর একাংশের। দুলালচন্দ্র বলেন, ‘‘উপাচার্য প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে কাজ করছেন। বিশ্বভারতীর সামগ্রিক পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আচার্যকে জানানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy