প্রতীকী ছবি
আমপান ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিপুল। সেই কথা মাথায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে সমস্ত স্থায়ী কর্মী ও অধ্যাপকদের এক দিনের বেতন দান করার কথা ঘোষণা করলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
গত ২৪ মে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতোর স্বাক্ষর করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আমপানের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সহ-নাগরিকদের সাহায্য করার জন্য বিশ্বভারতী তার সমস্ত স্থায়ী কর্মীদের এক দিনের বেতন কেটে তা আগামী ৩ জুনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে দান করবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, যেহেতু বিশ্বভারতীর সমস্ত স্থায়ী কর্মী ও অধ্যাপকদের একটি সুনির্দিষ্ট আয় আছে, তাই বর্তমান অবস্থায় যাঁদের আশ্রয়, খাবার এবং ওষুধের প্রয়োজন তাঁদের পাশে বিশ্বভারতীর দাঁড়ানোর দায়বদ্ধতা রয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্বভারতীর সমস্ত অস্থায়ী এবং চুক্তিবদ্ধ কর্মীকে সাধ্যমতো দানের আর্জি জানানো হয়েছে।
যদিও বিশ্বভারতী ইউনিভার্সিটি ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশন (ভিবিইউএফএ) এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে। তাদের মতে, কর্মী ও অধ্যাপকদের অনুমতি ছাড়াই তাঁদের বেতন কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত সরাসরি ব্যক্তি পরিসরে হস্তক্ষেপ। সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়া এক অধ্যাপক বলেন, “ইতিমধ্যেই আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে আমপানের জেরে দুর্গতদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহ শুরু করেছি। সেই ত্রাণের অর্থ কয়েক দিনের মধ্যেই প্রশাসনের কর্তাদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা। কর্তৃপক্ষ সকলের কাছে ত্রাণের জন্য আবেদন করতে পারতেন, অনুমতি ছাড়া প্রাপ্য টাকার উপরে কর্তৃপক্ষের কোনও অধিকার থাকতে পারে না।”
বিশ্বভারতীর এক আধিকারিকের প্রতিক্রিয়া, “বর্তমান পরিস্থিতি এ দেশ আগে কখনও দেখেনি। এই সময়ে যাঁদের এখনও একটি নির্দিষ্ট আয় রয়েছে, তাঁদের এগিয়ে আসতে হবে। যাঁদের মনে হচ্ছে যে অনুমতি না নিয়ে বেতন কাটা ভুল, তাঁদেরকে আমরা অনুরোধ করছি, মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলের জন্য এক দিনের বেতন দান করতে। এর পরেও আপত্তি থাকলে তাঁরা চিঠি লিখে জানান।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy