স্বস্তি: রোদ-পোড়া দুপুরে ক্রমশ স্নানের হিড়িক বাড়ছে বিশ্বভারতীর সুইমিং পুলে। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
রোদে ধাঁধিয়ে যাচ্ছে চোখ। পারদ ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। এই আবহে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে সুইমিং পুলে। ব্যতিক্রম নয় বোলপুরও। বরং সাঁতারে আগ্রহ বাড়াতে পয়লা মে থেকে পর পর দুটি ‘সামার ক্যাম্প’ করতে উদ্যোগী হল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতী ছাড়াও অন্য স্কুলের পড়ুয়া, ক্লাবের সদস্যদের সাঁতার কাটার সুযোগ করে দিতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে এ বার।
বিশ্বভারতীর ‘সুইমিং-পুল ম্যানেজমেন্ট কমিটি’র চেয়ারপার্সন সবুজকলি সেন বলেন, ‘‘আমাদের আন্তর্জাতিক মানের সুইমিং পুল রয়েছে। সেখানে বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, কর্মী-অধ্যাপকরা তো বটেই, বাইরের লোকদেরও সুযোগ দিতে ‘সামার ক্যাম্প’-এর ভাবনা।’’ বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, পয়লা মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত দু’টি ক্যাম্প হবে। প্রবেশমূল্য ১১০০ টাকা। পুরুষ ও মহিলাদের আলাদা ব্যবস্থা থাকবে। এই ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকছেন শারীরশিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক অশোককুমার গুণ।
২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর তৎকালীন উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের সময়ে বিশ্বভারতীতে এই সুইমিং পুল উদ্বোধন হয়েছিল। যদিও, উদ্বোধনের কিছু পরেই পুলটির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এখন অবশ্য নতুন ভাবে সেজেছে। এই পুলটি লম্বায় ৫০, চওড়ায় ২৫ মিটার। তিনটি স্তরে পুলটি গভীরতা সাড়ে চার ফুট, পাঁচ ফুট ও সাড়ে ছ’ফুট। প্রতিদিন সকাল ছ’টা থেকে ন’টা ও বিকেল তিনটে থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বিশ্বভারতীর অন্তত শ’দুয়েক পড়ুয়া, কর্মী-অধ্যাপক ও প্রাক্তনীরা এখানে সাঁতার কেটে থাকেন। এ বার এই সুযোগ পাবেন সকলেই।
এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সকলেই। বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, এ বার থেকে দিনপিছু ১৫০ টাকা দিয়ে বাইরের লোকেরাও এখানে সাঁতার কাটার সুযোগ পাবেন। কোনও ক্লাবের সদস্যরা সাঁতার শিখতে চাইলে ক্লাবের ৩০ জন সদস্য পিছু ২০০০ টাকার বিনিময়ে সাঁতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পুলের জনসংযোগ আধিকারিক ভ্রমর ভাণ্ডারি জানান, এ বার জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতা করারও চিন্তাভাবনা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy