Advertisement
১৩ নভেম্বর ২০২৪
Elephants Attack

হাতির হামলা, বনকর্মীদের গাছে বাঁধলেন গ্রামবাসী

এলাকাবাসীর দাবি, মাঝেমাঝেই হানা দেয় হাতি। তাঁদের অভিযোগ, ঘাটিয়ালি-সহ লাগোয়া গ্রামগুলিতে হুলাপার্টি তৈরিতে বন দফতর তৎপর নয়। পাশাপাশি, হাতি তাড়ানোর টর্চ, পটকাও তাঁদের দেওয়া হচ্ছে না।

আড়শার ঘটিয়ালী গ্রামে দাঁতালের হানায় ভাঙল ঘরবাড়ি. গ্রামে বনকর্মীরা গেলে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের একাংশ বেঁধে রাখেন গাছে।

আড়শার ঘটিয়ালী গ্রামে দাঁতালের হানায় ভাঙল ঘরবাড়ি. গ্রামে বনকর্মীরা গেলে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের একাংশ বেঁধে রাখেন গাছে। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আড়শা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৩ ০৬:১২
Share: Save:

আচমকা আড়শার ঘাটিয়ালি ও বামনি গ্রামে রবিবার ভোরে হামলা চালাল দলছুট একটি দাঁতাল। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী চার বনকর্মীকে গাছে বেঁধে রাখেন বলে অভিযোগ।

স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ভোরে হানা দেয় হাতিটি। একটি ঘরের দরজা ভেঙে দেয়। হামলায় ক্ষতি হয়েছে ঘরের দেওয়ালের। দেওয়াল ভাঙলেই ওই পরিবারের সদস্যদের দাঁতালের সামনে পড়তে হত। কোনওরকমে বেঁচে গিয়েছেন তাঁরা। আতঙ্কিত গ্রামবাসীর প্রশ্ন, ‘‘ক্ষতিপূরণের টাকাটুকুই কি সব? প্রাণের কি কোনও মূল্য নেই?।’’

এলাকাবাসীর দাবি, মাঝেমাঝেই হানা দেয় হাতি। তাঁদের অভিযোগ, ঘাটিয়ালি-সহ লাগোয়া গ্রামগুলিতে হুলাপার্টি তৈরিতে বন দফতর তৎপর নয়। পাশাপাশি, হাতি তাড়ানোর টর্চ, পটকাও তাঁদের দেওয়া হচ্ছে না। হাতির হামলার খবর ফোনে জানানো হলেও বন দফতরের তৎপরতা চোখে পড়েনি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর একাংশের। এ সব কারণেই ক্ষোভ জমছিল গ্রামে। সকালে প্রথমে দুই বনকর্মী সেখানে যান। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী তাঁদের বেঁধে রাখেন। সে খবর পেয়ে আড়শা রেঞ্জের এক আধিকারিক-সহ দু’জন গ্রামে গেলে তাঁদেরও একই ভাবে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয় বলে অভিযোগ।

গ্রামের কিছু বাসিন্দার দাবি ছিল, বনাধিকারিক পদমর্যাদার কোনও আধিকারিককে গ্রামে এসে উপযুক্ত পদক্ষেপের আশ্বাস দিতে হবে। পরে অবশ্য আড়শা থানার পুলিশ গিয়ে তাঁদের মুক্ত করে। তবে গ্রামবাসী তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেননি বলে জানিয়েছেন এক বনকর্মী।

বন দফতরের এক আধিকারিক জানান, ঘাটিয়ালি, বামনি ও চুনকুডি গ্রামগুলি একে অপরের লাগোয়া। ঠিক হয়েছে, প্রতিটি গ্রামের পাঁচ জনকে নিয়েই হুলাপার্টি গঠন করা হবে। বামনি গ্রামের জঙ্গলে একটি দলছুট দাঁতাল রয়েছে। সেটির গতিবিধি বন দফতরের নজরে রয়েছে। দাঁতালটি জঙ্গলের মধ্যেই থাকে। শনিবার রাতেও সেটি জঙ্গলেই ছিল। ভোরে ঘাটিয়ালি গ্রামে ঢুকে পড়েছিল হাতিটি। মাঠা, গোবরিয়া, পিটিদিরি পেরিয়ে সেটি ঘাটিয়ালিতে ঢুকে পড়বে, তা অনুমান করতে পারেনি বন দফতর।

অন্য বিষয়গুলি:

arsha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE