সে যে নিজের বাবা-মাকে খুন করেছে, তা আগেই পুলিশের কাছে কবুল করেছিল ভোপালের উদয়ন দাস। এ বার সেই জোড়া খুনের তারিখ জানাল ওই যুবক। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, তারিখটা হল ২০১০ সালের ২৭ জুলাই। তবে আদৌ উদয়ন ঠিক বলছেন কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে পুলিশ। কারণ, আকাঙ্ক্ষা খুনে ধরা পড়া ইস্তক সে নানা ভাবে বিভ্রান্ত করেছে তদন্তকারীদের।
পুলিশের কাছে উদয়ন জানিয়েছিল, মা ও বাবাকে গলা টিপে খুন করেছিল সে। তবে তার আগে চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে নেশার ওষুধ খাইয়ে দেয়। উদয়নের বাবা ও মায়ের ময়না তদন্তের রিপোর্টে কিন্তু সুনির্দিষ্ট ভাবে মৃত্যুর কারণ পাওয়া যায়নি। রায়পুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয় অগ্রবাল বলেন, “উদয়নের বাবা-মায়ের হাড়গোড়ের ময়না তদন্ত করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। আরও বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
উদয়নকে হেফাজতে পাওয়ার আগে তার বাবা মায়ের জোড়া খুনের ঘটনার নানা তথ্য প্রমাণ জোগাড়ে সচেষ্ট হয়েছে রায়পুর পুলিশ। রেজিস্ট্রি অফিস থেকে জমির মালিকানা বদল করে নেওয়ার তথ্যও সংগ্রহ করছেন রায়পুরের তদন্তকারীরা। ব্যাঙ্ক থেকে জোগাড় করা হচ্ছে উদয়নের বাবা ও মায়ের অ্যাকাউন্টের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য। উদয়নের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া দেহটি আকাঙক্ষার কি না, তা নিশ্চিত হতে সোমবার ডিএনএ টেস্টের জন্য নিহতের বাবার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছে বাঁকুড়া মেডিক্যালের ফরেন্সিক বিভাগ।
জেরায় উদয়ন তদন্তকারীদের কাছে দাবি করেছে, আকাঙক্ষার সঙ্গে দুটি ভ্যালেনটাইন্স ডে যাপন করেছে সে। ২০১৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আকাঙক্ষা তাঁদের পটনার বাড়িতে ছিলেন। উদয়ন পটনায় গিয়েছিল দেখা করতে। শহরের একটি রেস্তোঁরায় একসঙ্গে নৈশ ভোজ সারে তারা। পরের বছর দিনটি তারা কাটায় দিল্লিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy