এক কর্মচারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে কৃষি সমবায় সমিতির দুই কর্তাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা হলেন কোতুলপুরের কাঁটাশি সমবায় সমিতির সভাপতি বাসুদেব ঘোষ ও সহকারী ম্যানেজার শিবকালী বল্লভ। শুক্রবার রাতেই পুলিশ বাসুদেব ও শিবকালীকে গ্রেফতার করলেও অন্য অভিযুক্ত সমিতির সহ-সভাপতি সুকুমার রায় পলাতক বলে পুলিশের দাবি। ধৃতদের শনিবার বিষ্ণুপুর আদালতে তোলা হয়। বুধবার কোতুলপুর থানার কাঁটাশি গ্রামের বাসিন্দা রঘুনাথ বাগ কীটনাশক পান করেন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। তিনি কাঁটাশি সমবায় সমিতিতে খাতালেখার কাজ করতেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় মৃত রঘুনাথের ছোট ভাই সনৎকুমার বাগ সমিতির ওই তিন কর্তার নামে তাঁর দাদাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনেন।
মৃতের মেজভাই নন্দ বাগ শনিবার অভিযোগ করেন, ‘‘দাদা ওই সমিতিতে গত প্রায় ১৫ বছর ধরে খাতা লেখার কাজ করতেন। সমিতির ওই তিন কর্তার দুর্নীতি দাদার নজরে আসায় তা যাতে বাইরে যেতে না পারে, সে জন্য তারা হুমকি দিচ্ছিল। সেই চাপ সহ্য না করতে পেরেই দাদা কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। সুইসাইড নোটেও সে কথা লিখেও গিয়েছে দাদা।’’ কী ধরনের দুর্নীতি? তাঁর দাবি, রঘুনাথবাবু জানতে পেরেছিলেন, ওই কর্মকর্তারা তাঁর স্ত্রী ও ছেলের নাম ভাঁড়িয়ে ঋণ নিয়েছিল। কিন্তু ওঁরা কোনও ঋণই নেয়নি। প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। যদিও অভিযোগ সম্পর্কে ওই কর্মকর্তা বা তাঁদের পরিবারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পুলিশ অবশ্য দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কিছু জানাতে চায়নি। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃতেরা এলাকায় তৃণমূলের কর্মী বলে পরিচিত। যদিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রবীর গড়াইয়ের দাবি, ‘‘ওঁরা তৃণমূলের সঙ্গে কোনও ভাবেই জড়িত নয়। পুলিশ নিজেদের মতো করে তদন্ত করুক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy