ছবি: সংগৃহীত
নতুন করে জমি কিনবে বড়জোড়ার ‘ট্রান্স দামোদর কোলিয়ারি’। সেই জমির দর নিয়ে বুধবার রাতে বাঁকুড়ার কন্যাশ্রী ভবনে একটি বৈঠক হয়ে গেল। জেলাশাসকের নেতৃত্বাধীন ওই কমিটির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ‘ট্রান্স দামোদর কোলিয়ারি’তে কয়লা উত্তোলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিপিএল-এর প্রতিনিধিরাও। বৃহস্পতিবার জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস বলেন, “ক্ষতিপূরণের মূল্য বাড়ানো হয়েছে। গ্রামবাসী এই বর্ধিত মূল্যে সহমত হবেন বলেই আমরা আশাবাদী।’’
প্রশাসন সূত্রে খবর, এখন প্রায় ৩৪৫ একর জমির উপরে কোলিয়ারিটি রয়েছে। নতুন করে ৫৯৭ একর কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা। বৈঠকে জমির দর আগের থেকে বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক এ দিন বলেন, ‘‘কৃষিজমির দর প্রতি একরে ১৪ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া, পুকুর প্রতি একরে ১১.৭ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩ লক্ষ, বাস্তু জমি ২২.৯ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৬ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া, বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ৬.৬ লক্ষ টাকা ও ভাঙা পড়লে তিন কাঠা জমিতে ৫৫০ স্কোয়ার ফিটের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ ‘ট্রান্স দামোদর কোলিয়ারি’র বর্ধিত প্রকল্পের জন্য চিহ্নিত জমির মালিকদের আগাম ক্ষতিপূরণ দিয়ে কাজ শুরু করার দাবিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কোলিয়ারির দরজা বন্ধ করে অবস্থান-বিক্ষোভ করছেন চুনপোড়া-সহ কিছউ গ্রামের বাসিন্দারা। কয়লা খাদান থেকে বৃষ্টির জমা জল বের করতে বাধা পাচ্ছে বলে অভিযোগ ডিপিএল-এর।
যদিও সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা কমিটির সদস্য সুজয় চৌধুরী দাবি করেন, “যে হারে জমির দর বাড়বে বলে আমরা আশা করেছিলাম, তা হয়নি। প্রায় সাত বছর আগে পুরনো দর নির্ধারণ করা হয়েছিল। গত কয়েক বছরে জায়গা জমির দর অনেক বেড়ে গিয়েছে।” জেলাশাসক জানান, ‘ট্রান্স দামোদর কোলিয়ারি’তে যাতে শীঘ্রই কাজ শুরু করা যায়, সে জন্য পুলিশ ও প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy