প্রতীকী ছবি।
‘রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট’ চাইতে গিয়ে না পেয়ে দলীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের রানিবাঁধ ব্লক আদিবাসী যুব শাখার এক নেতা। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে রবিবার এসডিপিও (খাতড়া)-র কাছে লিখিত ভাবে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের একাংশে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল অবশ্য বলেন, ‘‘ওই যুব নেতার দলকে বিষয়টি জানানো উচিত ছিল । তিনি কেন এসডিপিও-র কাছে গেলেন জানি না। সুনির্দিষ্ট ভাবে দলকে বিষয়টি জানালে খতিয়ে দেখব। তবে বিধায়কের কাউকে ‘রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট’ দিতে গেলে পঞ্চায়েতের শংসাপত্র লাগে। এই ক্ষেত্রে সেই শংসাপত্র ছিল না বলেই শুনেছি।’’ দলের জেলা সভাপতির সংযোজন: ‘‘দলের রাশ শক্ত করা হচ্ছে। কোনও নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলেই তদন্ত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শুরুতে এমন কিছু বিষয় প্রকাশ্যে আসতেই পারে।’’
রানিবাঁধের তৃণমূল আদিবাসী যুব শাখার ব্লক যুব কার্যকরী সভাপতি সমীর হাঁসদার দাবি, শনিবার বিকেলে তিনি তাঁর বিধবা কাকিমার জন্য একটি ‘রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট’ নিতে রানিবাঁধের বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডির কাছে গিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ বিধায়ক এক জন আদিবাসী মহিলা হয়েও আর এক জন আদিবাসী মহিলাকে শংসাপত্র দিতে চাননি। আমি এক জন দলীয় নেতা হওয়া সত্ত্বেও আমার সঙ্গে তিনি দুর্ব্যবহার করেন। তাঁর দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদে এ দিন আদিবাসী যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে এসডিপিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিল। দলীয় নেতৃত্বের কাছেও বিষয়টি জানানো হবে বলে।’’ অনুগামীদের নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে সমীর দাবি করেন, ‘‘দল এ ব্যাপারে কিছু ব্যবস্থা না নিলে, দল ছাড়তে বাধ্য হব।’’
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে জ্যোৎস্নাদেবী পাল্টা দাবি করেন, ‘‘পুরোটাই সাজানো মিথ্যা ঘটনা। শনিবার বিকেলে সমীর তাঁর কাকিমার জন্য শংসাপত্র নিতে এসেছিলেন। আবেদনকারী আসেননি। এমনকী, তাঁর নামে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের লিখিত ‘রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট’-ও ছিল না। ছিল না ভোটার বা আধার কার্ডের প্রমাণপত্রও। তাই কোনও প্রমানপত্র না থাকায় সমীরকে তাঁর কাকিমার জন্য শংসাপত্র দেওয়া সম্ভব ছিল না। সে কথা তাঁকে ভাল ভাবেই বুঝিয়ে বলা হয়। তারপরেও তিনি মিথ্যা বদনাম রটাচ্ছেন।’’
এসডিপিও (খাতড়া) বিবেক বর্মা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক বিষয়। তাই রাজনৈতিক ভাবেই সমস্যাটি মিটিয়ে নিতে বলা হয়েছে।’’
তৃণমূলের রানিবাঁধ ব্লক সভাপতি সুনীল মণ্ডল বলেন, ‘‘দলের আদিবাসী শাখা সংগঠনের এক ব্লক যুব নেতার সঙ্গে বিধায়কের কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা হয়েছে বলে শুনেছি। খোঁজ নিচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy