দুই-ছবি: পুরুলিয়ার বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠের মাঠে দূরত্ব মেনে নেতারা। বিষ্ণুপুরে অনেকের মুখ খোলা। নিজস্ব চিত্র
একুশে জুলাইয়ের কর্মসূচি বুথে-বুথে স্বাস্থ্য-বিধি মেনে পালনের নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু মঙ্গলবার বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন জায়গায় জায়গায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য-বিধি মানতে দেখা গেল না বলে অভিযোগ। কোথাও তাঁদের বসার আসনে দূরত্ব ছিল না। কোথাও আবার গলায় ‘মাস্ক’ ঝুলিয়ে বা খোলা মুখে কর্মীদের ভিড় দেখা গিয়েছে। কোথাও আবার ভোজেরও আয়োজন করা হয়েছিল কর্মীদের জন্য।
বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা চিকিৎসক সুভাষ সরকারের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের রাজ্য সরকার করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা বলছে। আর সেই দলই এ ভাবে জমায়েত করে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে।’’ যদিও বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস বটব্যালের দাবি, ‘‘সর্বত্রই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ‘মাস্ক’ পরে কর্মীরা ভার্চুয়াল সভায় যোগ দেন।’’
এ দিন সকাল থেকেই বাঁকুড়া জেলায় বিভিন্ন এলাকায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ভার্চুয়াল’ সভা দেখানোর জন্য ‘জায়ান্ট স্ক্রিন’ ও টিভির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বাঁকুড়া শহর লাগোয়া কেশিয়াকোলে ‘জায়ান্ট স্ক্রিন’-এর সামনে কর্মীদের জন্য চেয়ার পাতা ছিল। দর্শকদের মধ্যে বয়স্ক থেকে শিশুও ছিল। তবে তাঁদের অনেকের মুখেই ‘মাস্ক’ ছিল না। কারও আবার গলায় ‘মাস্ক’ ঝুলতে দেখা গিয়েছে।
সতীঘাটে জেলা তৃণমূল ভবনের ভিতরেও ‘জায়ান্ট স্ক্রিন’-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শুনতে শুনতে কর্মীরা উৎসাহে বারবার হাত তুলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছিলেন। কিন্তু তাঁদের চেয়ারের মধ্যেও ব্যবধান দেখা যায়নি। যদিও বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতির দাবি, “দু’শো মানুষের বসার ব্যবস্থা রয়েছে তৃণমূল ভবনের মিটিং হলে। তবে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে আমরা একশোটি চেয়ারের ব্যবস্থা করেছিলাম।”
‘শহিদ দিবস’-এর এই কর্মসূচিতে পাত্রসায়রের বেলুট-রসুলপুর অঞ্চল তৃণমূলের তরফে বেলুট বাজারে এ দিন কর্মীদের জন্য মাংস-ভাত ও রসুলপুরে খিচুড়ি খাওয়ানো হয়। কুশদ্বীপ অঞ্চলের কয়েকটি বুথেও খিচুড়ি খাওয়ানো হয়। খাওয়াদাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিটি জায়গাতেই শতাধিক মানুষের ভিড় ছিল বলে অভিযোগ।
করোনা-পরিস্থিতিতে এই কর্মসূচি নেওয়াকে কেন্দ্র করেও প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। বেলুট-রসুলপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি তাপস বাড়ির অবশ্য দাবি, “কর্মীদের ছোট ছোট জায়গায় ভাগ করে খেতে বসানো হয়েছিল। সামাজিক দূরত্ব বজায় ছিল।” কুশদ্বীপ অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি শাজাহান মিদ্যাও দাবি করেন, “দুপুরে কর্মসূচি ছিল বলেই কিছু এলাকায় খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে সব জায়গাতেই দূরত্ব বিধি মেনে মাঠে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়।”
ইঁদপুরের বেলুট ও ভূতামা গ্রামে ‘জায়ান্ট স্ক্রিন’-এর সামনে অনেকে ‘মাস্ক’ না পরে ছিলেন বলে অভিযোগ। কোতুলপুরের নেতাজি মোড়ে মাইকে নেত্রীর বক্তব্য শোনানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy