এ বার হল সংখ্যালঘু সেলের জেলা সম্মেলন।
সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে একের পর এক সম্মেলন করে সর্বস্তরের দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা রাখতে প্রস্তুতি নিয়েছে বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তারই অঙ্গ হিসেবে বুধবার রামপুরহাটে হল দলের সংখ্যালঘু সেলের জেলা সম্মেলন। আগামী ২১ জানুয়ারি সাঁইথিয়ায় আদিবাসী সম্মেলন। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতি ব্লকে মহিলা কর্মী সম্মেলন শুরু হবে। প্রতি সম্মেলনে কুড়ি থেকে পঁচিশ হাজার মহিলা কর্মীর উপস্থিতি থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন দলের জেলার সভাপতি।
বুধবার রামপুরহাট হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত বীরভূম জেলা সংখ্যালঘু সেলের জেলা সম্মেলনে উপস্থিত কর্মীদের মাঝে উপস্থিত হন দিল্লি জামা মসজিদের পশ্চিমবঙ্গ শাখার উপদেষ্টা পর্ষদের চেয়ারম্যান মৌলানা হাফিজ সামশুল আফরিন। ওনার সঙ্গে ছিলেন কলকাতার ইমাম সংগঠনের সভাপতি মৌলানা মৈনউদ্দিন কুয়াসমি, প্রফেসর এ রহমান সহ অন্য বিশিষ্ট জন। মৌলানা হাফিজ সামশুল আফরিন মঞ্চে উপস্থিত অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বর প্রশংসা করে বলেন, “রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডল থাকলে তৃণমূল ছাড়া অন্য কোনও দল থাকবে না। তাই তো অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে।’’ সামশুল আফরিন সমালোচনা করেন বিজেপির। হজ যাত্রীদের ভর্তুকি বন্ধ করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কলকাতায় আন্দোলনের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। দিল্লির জামা মসজিদ কমিটির সঙ্গে কথা চলছে।
বীরভূম জেলা সম্মেলনে কলকাতা থেকে আসা দিল্লির জামা মসজিদের উপদেষ্টা পর্ষদের পশ্চিমবঙ্গে ইউনিটের চেয়ারম্যানকে এনে মঞ্চে চমক দেওয়ায় অনুব্রত মণ্ডল এবং অন্য নেতৃত্ব খুশি। হজযাত্রীদের ভর্তুকি বন্ধে মোদী সরকারের সমালোচনা করেন অনুব্রত। কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক ইঞ্চি মাটি ছাড়বেন না।’’ সম্মেলনে বীরভূম জেলার কর্মীরাও ছাড়া পশ্চিম বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট, আউশগ্রাম এলাকার কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে সংগঠনের জেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী সকলেই সংখ্যালঘু উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন।
সভায় ভিড় হয়েছিল ভালই। তৃণমূলের দাবি, কুড়ি থেকে পঁচিশ হাজার লোক হয়েছে। তাতে খুশি নেতৃত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy