অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, জেল থেকে তাঁর ছাড়া পাওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী তাঁর পাশে থাকার পার আত্মবিশ্বাসী অনুব্রত বলেছেন, সব মামলায় তিনি বেকসুর খালাস হবেন। এর পর দিনই বীরভূমে বড় কর্মসূচির আয়োজন করল তৃণমূল। শনিবার ইলামবাজারে সভা করল তারা। জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব জানাচ্ছেন, এ বার থেকে টানা কর্মসূচি করবেন তাঁরা।
শনিবারের কর্মসূচি নিয়ে বীরভূমের তৃণমূল নেতৃত্ব বলেন, ‘‘সিবিআই, ইডি দিয়ে ‘ভয়’ দেখানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র। তা ছাড়া, বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা এবং অস্বাভাবিক হারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বীরভূম জুড়ে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি পালন করব।’’ জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, বীরভূমের ১৬৭টি অঞ্চলে তৃণমূল মিছিল করবে। কোথাও বাইক মিছিল হবে। কোথাও আবার পদযাত্রার মধ্য দিয়ে কেন্দ্রের শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবেন তাঁরা। তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তৃণমূল মানুষের সঙ্গে ছিল, আছে, থাকবে, মানুষও আমাদের পাশেই থাকবে।’’
গরু পাচার-কাণ্ডে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত জেলবন্দি। গত অগস্টে তাঁর জেলে যাওয়া ইস্তক বীরভূমে তৃণমূলের কিছুটা শক্তিক্ষয় হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিরোধীরা। একাধিক বার সভা করেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে হয়েছে বাইক মিছিল। তৃণমূলও পাল্টা সাংসদ শতাব্দী রায়কে সামনে রেখে সভা করেছে। তবে কোথাও যেন সেই ঝাঁজটা ছিল না। বৃহস্পতিবার মমতার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আবার উজ্জীবিত কেষ্টবিহীন বীরভূমের তৃণমূল নেতৃত্ব। শনিবার ইলামবাজার ব্লকে বিশাল মিছিল করল তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মমতা বীরভূমের তৃণমূল নেতাদের বার্তা দেন। জানান, ‘বীরের মতো’ কেষ্টকে জেল থেকে বের করে আনতে হবে। পাশাপাশি, যত দিন না কেষ্ট জেল থেকে বেরোচ্ছেন, বীরভূমে ‘লড়াই’ যেন তিন গুণ বাড়ে। ‘দিদি’কে পাশে পেয়ে প্রত্যয়ী অনুব্রতও বলেছেন, সব মামলাতেই তিনি বেকসুর খালাস হবেন। কারণ, তিনি কোনও অন্যায় করেননি। এর পরই যেন বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল নেতৃত্ব।
যদিও এই মিছিল নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি এবং সিপিএম। বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘‘টাকা উদ্ধার থেকে গরু পাচার... মানুষ সব দেখতে পাচ্ছে। তাই ওরা যাই করুক, তৃণমূলের পাশে আর মানুষ থাকবে না।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূলের এ সব করে আর লাভ নেই। কারণ, অনুব্রত বীরভূমে কী পরিমাণ সন্ত্রাস করেছে, তা সকলেই জানে। তাই মানুষ ওদের সঙ্গে নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy