খোঁজখবর: ‘আক্রান্ত’ বিস্তারকের বাড়িতে শ্যামাপদ মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র
বিজেপির এক বিস্তারককে মারধর এবং তাঁর বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে পাড়ুই থানা এলাকার হাটইকড়া গ্রামে।
শুক্রবার বিকেলে ওই বিস্তারকের বাড়িতে যান বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘সনৎবাবু অন্য জেলায় বিজেপির বিস্তারক। সেই কারণে আতঙ্ক ছড়াতেই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছে। যাতে কেউ ভয়ে বিস্তারকের কাজ না করেন। আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। প্রশাসন পদক্ষেপ না করলে রাজনৈতিক ভাবে আন্দোলনের পথে হাঁটতে বাধ্য হব।’’ সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে শ্যামাপদবাবু জানিয়েছিলেন, দলের আদর্শ, কর্মকাণ্ড বাড়িতে বাড়িতে প্রচার করার পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। সে জন্য বিভিন্ন এলাকায় দলের বিস্তারকদের প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিজেপি জেলা সভাপতির অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মিথ্যা অভিযোগ করে
তৃণমূল কর্মীদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। বিজেপি জেলা সভাপতির ওই এলাকা পরিদর্শন নাটক ছাড়া কিছু নয়।’’
বিজেপি সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়পুর এলাকার বিস্তারক সনৎ দাস। তিনি পাড়ুইয়ের হাটইকড়া গ্রামের বাসিন্দা। মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি ফিরেছিলেন। বিকেলে দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিস্তারকের কাজের প্রক্রিয়া এবং দলের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে বাড়িতে বৈঠক করছিলেন। বিজেপির অভিযোগ, বৈঠক শেষ হওয়ার পরপরই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়। সনৎবাবুকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় জিনিসপত্র। সনৎবাবুর অসুস্থ মা-কেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। প্রাণভয়ে বাড়ির পিছনের একটি রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যান সনৎবাবু।
সনৎবাবু বলেন, ‘‘আচমকা আমার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। আমাকে মারধর করে ওরা। কোনওমতে পালিয়ে যাই। ওরা আমার অসুস্থ মা-কেও মারধর করে। পুলিশকে বার বার ফোন করি। কিন্তু দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে পুলিশ আসে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, এ নিয়ে দায়ের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দু’জনকে আটক করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy