প্রতীকী ছবি।
থানায় ফোন করে নিজের বিয়ে ভাঙল এক নাবালিকা। মঙ্গলবার পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি এলাকার একটি গ্রামের ঘটনা। বছর পনেরোর সেই কিশোরী থানায় ফোন করে জানায়, জোর করে তার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সে পড়াশোনা করতে চায়। শুক্রবার তার বিয়ের দিন ঠিক করা হয়েছিল।
বাঘমুণ্ডি থানার পুলিশ জানিয়েছে, ওই বাড়িতে গিয়ে তারা দেখে, বিয়ের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। কিশোরীর বাবা-মাকে নাবালিকার বিয়ে দেওয়া বেআইনি কাজ বলে জানানো হয়। তাঁরা শেষে মুচলেকা দিয়ে জানান, তাঁদের মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না। এসডিপিও (ঝালদা) সুমন্ত কবিরাজ বলেন, ‘‘কিশোরী নিজেই ফোন করে বিয়ে ভাঙার জন্য থানায় অনুরোধ করেছিল। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়। ওই কিশোরীর সাহসিকতা প্রশংসনীয়।’’
পুরুলিয়া জেলা চাইল্ডলাইনের কো-অর্ডিনেটর অশোককুমার মাহাতো বলেন, ‘‘মেয়েরাই নিজেরা যদি এ ভাবে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসে, তা হলে আমাদের কাজ করা অনেক সহজ হবে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটি বাঘমুণ্ডির একটি স্কুলের পড়ুয়া। সে পুলিশকে জানিয়েছে, স্কুলে কিছু দিন আগে পুলিশের একটি সচেতনতার শিবির হয়েছিল। সেখানেই পুলিশ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় টেলিফোন নম্বর পড়ুয়াদের মধ্যে বিলি করেছিল। জানিয়েছিল, কোনও সমস্যায় পড়লে থানাতেও ফোন করা যাবে। সে সব নম্বর খাতায় লিখে রেখেছিল ওই কিশোরী।
ওই কিশোরীর বাবা বলেন, ‘‘নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছি। বিয়ের বয়স না হলে কোনও ভাবেই মেয়ের বিয়ে দেব না।’’ তিনি জানান, চাষবাস করে সংসার চলে। তাই বিয়ের যোগাযোগ হওয়ায় তাঁরা না করেননি।
কিছু দিন আগে ‘লকডাউন’-এর মধ্যে ঝালদার কলমা পঞ্চায়েত এলাকার একটা গ্রামে গিয়ে নাবালিকা বিয়ে রুখে দিয়েছিলেন চাইল্ডলাইন এবং প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। সে ঘটনার জের না কাটতেই ফের নাবালিকা বিয়ের তোড়জোড়ের খবর সামনে আসায় চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের কপালে। পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক অবশ্য জানিয়েছেন,ওই পরিবারগুলির উপরে তাঁরা নজর রাখছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy