বেড়েছে ডিমের দাম। —ফাইল চিত্র।
এক দিকে ভিন রাজ্য থেকে জোগান কমে যাওয়া। অন্য দিকে অতিরিক্ত চাহিদার চাপ- দুইয়ে মিলে হঠাৎই মহার্ঘ্য হয়ে উঠেছে ডিম। স্বল্প মূল্যে সুষম আহার ডিমের এই হঠাৎ দাম বৃদ্ধিতে সঙ্কটে মধ্যবিত্ত। ডিমের কুসুমে কম খরচে প্রোটিন পাওয়া কি তাহলে এখন আকাশকুসুম কল্পনা, প্রশ্ন ক্রেতাদের।
মধ্যবিত্ত বাঙালির নিয়মিত খাবার তথা জলখাবারের সঙ্গী ডিম। অনেকেই প্রত্যেক দিন নিয়ম করে ডিম খান। নিম্নবিত্তদের কাছেও অল্প দামে অনেকটা প্রোটিন এবং খাদ্যগুণ শরীরে গ্রহণ করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতিই ডিম খাওয়া। চিকিৎসকরাও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে ডিম খাওয়ার নিদান দেন। কিন্তু সেই ডিমই হঠাৎ করে মাথাব্যথার কারণ হয় উঠেছে।
৬ টাকার ডিম শেষ কয়েক সপ্তাহ ধরে বিকোচ্ছে প্রতিটি ৭-৮ টাকা দরে। প্রত্যেক পেটিতে (৩০টি ডিমে এক পেটি) দাম বেড়েছে ৩০-৪০ টাকা। স্বভাবতই ডিমের প্রতি আকর্ষণে বেশ কিছুটা ভাঁটা পড়েছে সাধারণ মানুষের৷ তবে, আশার কথা শোনাচ্ছেন বিক্রেতারা। তাঁদের দাবি, জানুয়ারির শুরু থেকেই ধীরে ধীরে দাম কমবে ডিমের।
বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, মাসখানেক আগে দক্ষিণ ভারতে নিম্নচাপের জেরে অতি ভারী বর্ষণের কারণে অন্ধ্রপ্রদেশে ডিম উৎপাদনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল। আমাদের রাজ্যেও যেহেতু অন্ধ্রপ্রদেশ প্রদেশ ডিম আমদানি করা হয়, তাই অন্ধ্রে দুর্যোগের ছাপ পড়েছে বঙ্গের ডিমের দামে। এর পাশাপাশি বড়দিনের সময়টাতে ডিমের চাহিদা অন্য সময়ের তুলনায় অনেকটাই বেশি থাকে। তার প্রভাবও পড়েছে দামের উপর।
সিউড়ির এক ডিম ব্যবসায়ী নিখিল সরকার বলেন, “বড়দিনের তুলনায় ডিমের চাহিদা অনেকটাই কমেছে, অন্ধ্র থেকে জোগানও এখন অনেকটাই স্বাভাবিক, ফলে ডিমের দামও আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হবে।’’ তিনি জানান, শনিবার পর্যন্ত ডিম ব্যবসায়ীরা প্রতি পেটি ডিম ২১০ টাকা দামে বিক্রি করেছেন। রবিবার তার দাম কমে ২০০ টাকা হয়েছে৷ তাঁর কথায়, ‘‘আশা করি, দাম আরও কিছুটা কমবে।”
তবে ডিম বিক্রির উপর দাম বাড়ার প্রভাব খুব একটা পড়েনি বলেই জানাচ্ছেন নিখিল। তিনি বলেন, “অনেকেই দাম শুনে ভুরু কুঁচকোচ্ছেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও ডিম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বড় দিনের সময়ও ডিমের বিক্রি স্বাভাবিকই ছিল।”
তবে ডিম কেনা কমেছে বলে জানাচ্ছেন ক্রেতারা। বিনোদ দাস নামে এক ক্রেতা বলেন, “আগে প্রতি সপ্তাহে এক পেটি করে ডিম নিয়ে যেতাম। বাড়ির সকলেই নিয়মিত ডিম খেতেন। এখন তা কমিয়ে সপ্তাহে ২০টা করে নিয়ে যাচ্ছি। খাবার থেকে ডিম তো বাদ দেওয়া যায় না, তবে সপ্তাহে দু’দিন খাবারের তালিকা থেকে ডিম বাদ দিয়েছি। ডিমের দাম আরও কিছুটা কমলে, আবারও আগের রুটিনেই ফিরে যাব।”
তবে মিড-ডে মিলে ডিমের জন্য সরকারের বরাদ্দ যেখানে ছ’টাকায় পৌঁছয় না, সেখানে স্কুলগুলিতে ডিমের এই বর্ধিত দামের জেরে কী পরিস্থিতি? (চলবে)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy