শুক্রবার বিকেলে আংশিক লকডাউনের পরে জেলা সদরের চৈতালি মোড়। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়
দুপুর তিনটে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত জেলার পুর শহরগুলিতে আংশিক লকডাউনের কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। শুক্রবার ওই আংশিক লকডাউনের সময় সূচি পাল্টানো হল জেলা
প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
রবিবার অর্থাৎ ২৬ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত দুপুর ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত লকডাউন চলবে। শুক্রবার জেলা প্রশাসনের বৈঠকের পরে এই কথা জানান জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিংহ। তবে কেবল পুরশহর নয়। মানুষ যেখানে যেখানে ভিড় করেন যেমন, গঞ্জশহর কিংবা হাটেবাজারে ভিড় এড়ানোর জন্যেও পরিকল্পনা নিচ্ছে জেলা প্রশাসন। করোনা প্রতিরোধের জন্য জেলার প্রতিটি ব্লকে যে টাস্ক ফোর্স রয়েছে, তাদের থেকে সংশ্লিষ্ট ব্লকের বড় বাজার, হাট এইগুলির তালিকা চাওয়া হয়েছে। যাতে পুরশহরের মতো ওই জায়গাগুলিও আগামী দিনে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
এ দিনের বৈঠকে ছিলেন অভিজিৎ সিংহ, জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ, বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি সহ জেলা
প্রশাসনের কর্তারা। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের থেকে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই সিউড়ি শহরের পাঁচ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু জেলা সদরেই চার জায়গায় কন্টেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। তা ছাড়া প্রতিদিনই জেলায় সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবস্থায় সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য লকডাউনের সময়সীমা আরও তিন ঘণ্টা বাড়িয়ে দিল প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের কর্তাদের ব্যাখ্যা, লকডাউনের মূল উদ্দেশ্য হল রাস্তায় ভিড় আটকানো এবং মানুষকে গৃহবন্দি করে রাখা। তাই এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু, ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, এই সিদ্ধান্তের ফলে সকালের দিকে
বাজারে ভিড় বাড়বে। কেননা কেনাকাটির সময় কমেছে। এমনিতেই শুক্রবার সকাল থেকে সিউড়ি বাজারগুলিতে ভিড় কিছুটা বেড়েছিল। এর মোকাবিলা প্রশসান কী ভাবে করে দেখার সেটাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy