সিউড়ি ২নং ব্লকের কেন্দুয়া বনাম পুরন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্রিকেট প্রতিযোগীতা সাজিনা গ্রামের মাঠে বুধবার বিকেলে। ছবিঃতাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।
শীতের মিঠেকড়া রোদ গায়ে মেখে খোলা মাঠে খেলার আমেজ নিতে জেলার নানা প্রান্তেই বিভিন্ন প্রতিযোগিতা বা বন্ধুত্বপূর্ণ খেলার আয়োজন করা হচ্ছে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই শীতের আমেজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সিউড়ি ২ ব্লকে ক্রিকেট প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে তৃণমূল নেতৃত্বও।
সিউড়ি ২ ব্লকের অন্তর্গত ৬টি পঞ্চায়েতের মধ্যে আন্তঃপঞ্চায়েত এই ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ঘিরে এলাকায় উন্মাদনাও রয়েছে চরম। একদিকে খেলার মাধ্যমে পঞ্চায়েতের যুব সমাজের সঙ্গে একাত্মতা, অন্য দিকে খেলা দেখতে আসা সাধারণ মানুষদের মনোরঞ্জন— লোকসভা নির্বাচনের আগে তাই শীতের খেলাকেই জনসংযোগের অন্যতম হাতিয়ার করেছেন সিউড়ি ২ ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্ব।
সিউড়ি ২ ব্লকের কোমা, কেন্দুয়া, পুরন্দরপুর, দমদমা, বনশঙ্কা ও অবিনাশপুর পঞ্চায়েতের মধ্যে এই ক্রিকেট প্রতিযোগিতা দমদমা পঞ্চায়েতের কুষ্ঠিগিরির একটি ক্লাবের নামে পরিচালিত হলেও সিউড়ি ২ ব্লকের তৃণমূলের ব্লক ও অঞ্চল নেতৃত্বরা সক্রিয় ভাবে রয়েছেন খেলা আয়োজনের সঙ্গে।
বুধবার পুরন্দরপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সাজিনা মাঠে প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল কেন্দুয়া ও পুরন্দরপুর পঞ্চায়েত। মাঠের ধারেই উপস্থিত ছিলেন কেন্দুয়া পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ জালালউদ্দিন এবং পুরন্দরপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অশ্বিনী মণ্ডল। ওই খেলায় কেন্দুয়াকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় পুরন্দরপুর। এর আগে প্রথম সেমিফাইনালে কোমাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে অবিনাশপুর।
আগামী ৭ জানুয়ারি কুষ্ঠিগিরির মাঠে ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি হবে পুরন্দরপুর এবং অবিনাশপুর। সেই খেলায় মাঠে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে সাংসদ শতাব্দী রায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ, স্থানীয় বিধায়ক নীলাবতী সাহা, সিউড়ি ২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি তথা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম প্রমুখের। প্রতিযোগিতার ফাইনালে বিজয়ী দলের হাতে ৩০ হাজার এবং পরাজিত দলের হাতে ২০ হাজার টাকা তুলে দেবেন তাঁরা।
এই খেলাকে ঘিরে এলাকার মানুষদের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনাও রয়েছে৷ বুধবার সেমিফাইনাল খেলা দেখতে কয়েকশো মানুষ ভিড় করেছিলেন সাজিনার মাঠে। যদিও এই খেলাকে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে রাজি নন ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “গত কয়েক বছর ধরেই এই খেলার আয়োজন করা হচ্ছে৷ এর আগে ৬টি পঞ্চায়েতকে নিয়ে একটি ফুটবল প্রতিযোগিতাও আয়োজন করেছিলাম। সারা বছর ধরেই আমরা খেলাধুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকি। আলাদা করে আমাদের নির্বাচনের প্রচারের জন্য খেলা আয়োজন করতে হয় না।’’ তাঁর দাবি, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর যেভাবে ক্লাবগুলিকে সহায়তা করেছেন, তাতে ক্রীড়ার অনেক উন্নতি ঘটেছে।” তবে নুরুল মানছেন, “এতে যদি লোকসভা নির্বাচনের আগে আরও কিছুটা মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়, সেটা অবশ্যই উপরি পাওনা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy