বার্তা: প্ল্যাকার্ড হাতে দুবরাজপুরের আরবিএসডি স্কুলের পড়ুয়া। শুক্রবার। —নিজস্ব চিত্র।
এক পড়ুয়ার অকাল মৃত্যুর পরেই ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা প্রচারে নামল ছাত্র, শিক্ষকেরা। নির্মল বিদ্যালয় অভিযান সপ্তাহে শুক্রবার দুবরাজপুরের আরবিএসডি স্কুলের পড়ুয়া ও শিক্ষকেরা ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা প্রচারে র্যালি করেন। ডেঙ্গি কী, কেন হয়, প্রতিরোধে আমাদের কী কী করণীয়— তা নিয়ে পোস্টার তো ছিলই। ছড়ানো হয় ডেঙ্গি সচেতনতা বিষয়ক ১০০০ লিফলেটও।
সপ্তাহ দু’য়েক আগে ডেঙ্গি প্রভাবিত দুবরাজপুর শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে জ্বরে ভুগে মৃত্যু হয়েছিল শেখ রাজা নামে নবম শ্রেণির এক স্কুল পড়ুয়ার। ডেঙ্গির জন্যেই মৃত্যু, স্বাস্থ্য দফতর তা নিশ্চিত না করলেও শহরের আরবিএসডি স্কুলের ওই ছাত্রের মৃত্যুর কারণ যে ডেঙ্গি-ই, সেটা নিয়ে একমত ছিলেন এলাকাবাসী। একই মত রাজার স্কুলের ছাত্র-শিক্ষক সকলেরই। ডেঙ্গি সচেতনতা বিষয়ক র্যালির আয়োজন সেই কারণেই, বলছেন শিক্ষকেরা। এ দিন বিদ্যালয়ের শ’চারেক পড়ুয়া যোগ দেয় প্রচারে। হাতে নানা পোস্টার, লিফলেট। শহর পরিক্রমার পর স্কুলে ডেঙ্গি নিয়ে আলোচনা এবং ক্যুইজ হয়।
প্রধান শিক্ষক মধুসূদন মণ্ডলের কথায়, ‘‘রোগ ঠেকাতে সচেতনতা বৃদ্ধিই যে একমাত্র পথ সেটা আমরা জানি। ওই ছাত্রের মৃত্যুর পর এটাই সবার আগে মনে হয়েছিল। তারপর থেকেই স্কুলে পড়ুয়াদের সচেতন করতে নিয়মিত প্রচার চলছে। সর্বশিক্ষা মিশনের নির্মল বিদ্যালয় সপ্তাহ পালনেও নানা কর্মসূচি চলেছ। ডেঙ্গি নিয়ে প্রচার স্কুলের গণ্ডীর মধ্যেই না রেখে আরও ছড়িয়ে দিয়েই এই ভাবনা।’’
পড়ুয়া প্রিয়তোষ গড়াই, অর্চিষ্মান পাঁজা, শেখ ইজাজ, গোপাল বাউড়িরা জানিয়েছে, আমরা জেনেছি মশাবাহিত এই রোগ ঠেকানো সম্ভব একটু সচেতন হলেই। সেটা নিয়ে প্রচার চালানো আমাদের দায়িত্ব। পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুবরাজপুরে ডেঙ্গি পরিস্থিতি উন্নত হলেও উদ্বেগ রয়েছে। গত মাসের ২৪ তারিখ থেকে শুধু দুবরাজপুরে শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ ছাড়িয়েছে। প্রয়োজন আরও বেশি করে সচেতনতা বৃদ্ধি।
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলছেন, ‘‘এই রোগ ঠেকাতে স্বাস্থ্য দফতরের কিছু দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু সবার আগে প্রয়োজন রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতন হওয়া। পড়ুয়ারা এ ভাবে এগিয়ে এলে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy