বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে। ছবি: অভিজিৎ অধিকারী
পর্যাপ্ত সংখ্যায় স্ট্রেচারের অভাব থাকায় অনেক সময়ে মুমূর্ষু রোগীকেও দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় বলে দাবি। সেখানে স্ট্রেচারে ইট-বালি পরিবহণের ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে। বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালের ঘটনা। বিষ্ণুপুর মহকুমা পূর্ত দফতরের এগ়জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দীপঙ্কর জানা বলেন, “বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে স্ট্রেচার কেন ব্যবহার করা হবে? ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে কথা বলছি।” ঠিকাদার সংস্থার দাবি, অকেজো স্ট্রেচার মেরামত করে কাজে লাগানো হয়েছিল।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, পূর্ত দফতরের অধীনে ঠিকাদার সংস্থা মেরামতের কাজ করছে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে। সেই সংস্থার নির্মাণ কর্মীরা স্ট্রেচারে নির্মাণ সামগ্রী বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানা যায়, স্ট্রেচারের সংখ্যা বর্তমানে গোটা দশেক। তবে রোগীর সংখ্যা দিন দিন যে ভাবে বাড়ছে, তাতে আরও কয়েকটি স্ট্রেচার দরকার। এ দিন কোতুলপুর থেকে আসা এক রোগীর পরিবার তপন মণ্ডলের দাবি, “হাসপাতালে স্ট্রেচার এমনিতেই কম। রোগী বেশি এসে গেলে স্ট্রেচারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। উপায় না দেখে অনেক সময়েই রোগীকে পাঁজাকোলা করে নিয়ে যেতে হয়। সেখানে স্ট্রেচারে বালি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”
ঠিকাদার সংস্থার তরফে উত্তম দে তবে বলেন, “না জেনেই কর্মীরা ভাঙা স্ট্রেচার মেরামত করে কাজে লাগিয়েছিলেন। বিষয়টি জানার পরে ওই কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আর কেউ হাসপাতালের কোনও জিনিস ব্যবহার করবেন না।”
হাসপাতালের সুপার শুভঙ্কর কয়াল বলেন, “ভাঙা হোক বা ভাল, হাসপাতালের স্ট্রেচার বা অন্য কোনও জিনিস ব্যবহার করা যাবে না। ঠিকাদার সংস্থার কর্মীদের মালপত্র বহনের জন্য চারটি লোহার ঠেলা দেওয়া হয়েছিল। তার দু’টির চাকা ভেঙেছে। এক সঙ্গে অনেক কাজ শুরু হওয়ায় যন্ত্রের টান পড়েছে। তবে সরকারি জিনিস না বলে ব্যবহার করা যাবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy