Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

পরীক্ষার্থীদের জন্য বাসের ব্যবস্থা কোপাইয়ে

ক্লাবের এটি তৃতীয় বছরের উদ্যোগ। ২০১৬ সালে পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে প্রথম এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। শুধু মাধ্যমিক বলে নয়। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাতেও রয়েছে একই ব্যবস্থা।

বাহন: পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে সেই বাসের সামনে ভিড়। শুক্রবার। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী

বাহন: পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে সেই বাসের সামনে ভিড়। শুক্রবার। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী

দেবস্মিতা চট্টোপাধ্যায়
বোলপুর শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৮ ০২:৩৭
Share: Save:

দশ কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে যেতে হয় পরীক্ষাকেন্দ্রে। কখনও বাসের সমস্যা, কখনও ট্রেনের। সঙ্গে রয়েছে পরীক্ষার চিন্তা। এ সব থেকে পরীক্ষার্থীদের রেহাই দিতে উদ্যোগী হল শ্রীনিধিপুর পঞ্চায়েতের কোপাই বাণীচক্র ক্লাব। সর্পলেহনা গ্রাম পঞ্চায়েতের আলবাঁধা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় ১৮০ জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর জন্য ক্লাবের তরফে বাসের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই রোজ কোপাই থেকে ওই বাস ধরছেন। তার পরে একসঙ্গে নামছেন পরীক্ষাকেন্দ্র বোলপুর-শিক্ষানিকেতন আশ্রম বিদ্যালয়ে।

ক্লাবের এটি তৃতীয় বছরের উদ্যোগ। ২০১৬ সালে পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে প্রথম এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। শুধু মাধ্যমিক বলে নয়। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাতেও রয়েছে একই ব্যবস্থা। কোপাইয়ের যে স্কুলেরই পরীক্ষাকেন্দ্র বোলপুর পারুলডাঙার এই স্কুলটি হয়, সেই পরীক্ষার্থীদেরই বিনাভাড়ায় বাসে কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। ক্লাবের সদস্য লক্ষ্মণ প্রামাণিক বললেন, ‘‘পরীক্ষার সময় এমনিতেই ছেলেমেয়েদের মানসিক চিন্তা থাকে। তার পরে আবার বাস ঠিক মতো পাওয়া যায় না। তাতেও সমস্যা হত। পরীক্ষার্থীদের অসুবিধে দূর করে নির্বিঘ্নে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিতেই এই উদ্যোগ।’’ বাসের মালিক সন্তোষ পালও শুধু বাসের খরচটুকুই নেন। চালক রামনরেশ দুবে জানালেন, পরীক্ষার্থীরা একসঙ্গে আনন্দ করে পরীক্ষা দিতে আসে। বাড়ি থেকে বেরোনো পর্যন্ত যেটুকু ভয় থাকে, বাসে উঠে বসলেই ওদের চোখেমুখে ভয়ের লেশমাত্র থাকে না। এটাই পাওয়া।’’ দায়িত্ব নিয়ে বাস চালান দুবেবাবুও। সঙ্গে এত জন পরীক্ষার্থী। কোনও রকম দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্যও যথেষ্ট সাবধানী তিনি।

আলবাঁধা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী ঋক ঘোষ জানাল, বাসে-ট্রেনে যাতায়াত করলে অনেকটা আগে বেরোতে হত। ক্লাবের পক্ষ থেকে বাসের ব্যবস্থা করার জন্য অনেকটা আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারছে তারা। যেটা রুটের বাসে যাতায়াত করলে সম্ভব হত না। সুদীপ্তা ঘোষ, অনিমা সাউদের কথায়, ‘‘রুটের বাসে আসলে পারুলডাঙার মোড়ে নামতে হত। ওখান থেকে পরীক্ষাকেন্দ্র দেড় কিলোমিটারের হাঁটা পথ। ক্লাবের বাস থাকায় সমস্যা হচ্ছে না।’’ এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকরাও। তাঁরা জানালেন, আর্থিক সমস্যার জন্য অন্য কোনও ভাবেই ছেলেমেয়েদের নিয়ে আসা যেত না। সেখানে ক্লাবের উদ্যোগ পরীক্ষার্থীদের কাছে আর্শীবাদ।

অন্য বিষয়গুলি:

Kopai কোপাই Madhyamik Examination
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE