তাণ্ডব: বিষ্ণুপুরের হাজড়াপাড়ায় ভাসানে ফাটছে শব্দবাজি। নিজস্ব চিত্র
মাইকের শব্দে লাগাম টানতে পারলেও নিষিদ্ধ শব্দবাজির রমরমা এ বারেও রুখতে পারল না বাঁকুড়া পুলিশ। জেলার বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর পুরশহরে দুর্গাপুজার চার দিনই কমবেশি শব্দবাজি ফেটেছে। বিজয়ার ভাসানে সেটা ব্যাপক আকার নেয়। দুই শহরেরই রাজপথে প্রকাশ্যে ফাটানো হয়েছে গাছ বোম, চকলেট বোম। বাঁকুড়া শহরের বহু ভাসানে সাউন্ড বক্সের তাণ্ডব দেখা গিয়েছে দশমীতে।
যদিও এ বারের দুর্গাপুজোয় শব্দ দানবের উৎপাত শহরাঞ্চলে কিছুটা কম ছিল বলেই জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষজন। বাঁকুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক মধুসূদন দরিপার কথায়, “অন্য বারের তুলনায় এ বার শব্দ অনেকটাই কম ছিল। রাতে শান্তিতে ঘুমোতেও পেরেছি।” বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা দেবেশ মুখোপাধ্যায় বলেন, “মাইকের আওয়াজ এ বার তেমন একটা ছিল না। তবে শব্দবাজি তুলনায় কম হলেও ফেটেছে। অনেক রাতেও বাজি ফাটার শব্দে চমকে চমকে উঠেছি।’’
ভাসানে বাঁকুড়ার মাচানতলা মোড়, সার্কিট হাউস মোড়, সতীঘাট এলাকায় প্রচুর শব্দবাজি ফাটতে দেখা গিয়েছে এ বার। বিভিন্ন পুজো কমিটি তীব্র আওয়াজে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে ভাসানে বেরিয়েছিল। অন্যদিকে, বিষ্ণুপুর শহরের হাজরাপাড়া, গোপালগঞ্জ, রঘুনাথসায়র এলাকায় প্রচুর বাজি ফাটে ভাসানে। সব মিলিয়ে পুজোর ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি সাফল্য পেলেও শব্দ দানব ঠেকানোর ব্যাপারে কিছুটা হলেও যে খামতি থেকে গিয়েছে, সে কথা মেনে নিচ্ছেন জেলা পুলিশেরই একটা বড় অংশ। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা বলেন, “এ বার মাইকের দাপাদাপি নিয়ন্ত্রণে ছিল। শব্দবাজি গত বারের তুলনায় কিছুটা কমই ফেটেছে।”
ঘটনা হল, শব্দবাজি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুর্গাপুজোর আগে সে ভাবে পুলিশকে অভিযান চালাতে দেখা যায়নি এ বার। বিভিন্ন দোকান থেকে লুকিয়ে চুরিয়ে নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি হয়েছে রমরম করে। তবে দুর্গাপুজোর তুলনায় কালীপুজোয় শব্দবাজির দৌরাত্ম্য অনেক বেশি দেখা যায়। দুর্গাপুজোয় শব্দবাজির দাপট ঠেকাতে না পারলেও কালী পুজোয় এ নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে। পুলিশ সুপার বলেন, “কালী পুজোয় শব্দবাজি রুখতে আরও বেশি মাত্রায় সক্রিয় হবে পুলিশ। এ নিয়ে এখন থেকেই সমস্ত থানাকে সচেষ্ট হওয়ার নির্দেশ দিচ্ছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy