বিজেপি বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ। — নিজস্ব চিত্র।
জনসংযোগে বেরিয়ে এলাকার টোটোচালক এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের একাংশের ক্ষোভের মুখে পড়লেন কোতুলপুরের বিজেপি বিধায়ক হরকালী প্রতিহার। সোমবার সন্ধ্যায় হরকালী প্রতিহার দলীয় কর্মীদের নিয়ে বাঁকুড়ার কোতুলপুরের নেতাজি মোড় এলাকায় জনসংযোগে বার হয়েছিলেন। সেই সময় স্থানীয় রাস্তাঘাটের হাল ফেরানো-সহ একাধিক দাবিতে বিধায়কের কাছে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। বিক্ষোভের দায় তৃণমূলের দিকে ঠেলছেন বিধায়ক। তৃণমূল অবশ্য হরকালীর অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সাম্প্রতিক কালে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’, ‘দিদির দূত’-সহ দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ছেন তৃণমূলের নেতারা। অবশ্য উলটপুরাণ দেখা গেল বাঁকুড়ার কোতুলপুরে। কোতুলপুরে মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হল স্থানীয় বিজেপি বিধায়ককে। সোমবার সন্ধ্যায় নেতাজি মোড়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে চা খাওয়ার পর, স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং টোটোচালকদের কাছে সমস্যার কথা শুনতে যান বিধায়ক। সেই সময় স্থানীয় টোটো চালকদের একাংশ গোগড়া থেকে মদনমোহনপুর রাস্তার বেহাল অবস্থার কথা তুলে দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি জানান। এ ছাড়াও এলাকার শৌচালয়ের অভাব-সহ বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে বিক্ষোভ দেখান বিধায়ককে। সমস্যা সমাধানে অভিযোগকারীদের সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের কাছে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন হরকালী।
শিবুরাম পাল নামে স্থানীয় এক টোটোচালক বলেন, ‘‘এত দিন বিধায়কের দেখা পাওয়া যায়নি। এখন পঞ্চায়েত ভোট আসছে। তাই তিনি এলাকায় এসে জনসংযোগ করছেন। গোগড়া থেকে মদনমোহনপুর পর্যন্ত রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে রয়েছে। বিধায়কের কোনও হুঁশ নেই। আমরা তাঁকে রাস্তা মেরামতের কথা বললে, তাঁর অনুগামীরা বলছেন, ওই রাস্তা পঞ্চায়েতের এক্তিয়ারে। সাধারণ মানুষ হিসাবে আমাদের জানার কথা নয় যে, কোন রাস্তা কোন দফতরের অধীনে।’’
হরকালী অবশ্য এই ঘটনার জন্য অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তৃণমূলের দিকে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘গত ১১ বছর ধরে তৃণমূল যে সব কাজ করেনি এ দিন তৃণমূলের কিছু মানুষ তার দায় আমাদের উপর চাপানোর চেষ্টা করেছেন।’’
তৃণমূলের কোতুলপুর ব্লকের সভাপতি তরুণ নন্দীগ্রামী বলেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বিধায়ককে এলাকার মানুষ দেখতে পাননি। তিনি কোনও কাজও করেননি। তাই সাধারণ মানুষই তাঁকে ক্ষোভ দেখিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy