অমিত শাহ ও জেপি নড্ডাকে চিঠি বিদ্রোহী বিধায়কদের। — ফাইল চিত্র
রাজ্য বিজেপি-তে বিদ্রোহ থামছেই না। দলের সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল প্রথমে। যার জেরে দলের একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের বেশ কয়েক জন বিজেপি বিধায়ক। সেই আগুন যে নেভেনি তার প্রমাণ মিলল। এ বার সরাসরি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি লিখেছেন বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ার মোট ৯ বিধায়ক। চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে বিশদে মুখ খোলেননি বিদ্রোহীদের কেউই। তবে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন ওই বিধায়কদের একাংশ।
সূত্রের খবর, বুধবার বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা, ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা, সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামি এবং ইন্দাসের বিধায়ক নির্মলকুমার ধাড়া নিজেরা আলাদা ভাবে চিঠি পাঠিয়েছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ কয়েক জন কেন্দ্রীয় নেতাকে। বিষয়টি নিয়ে নীলাদ্রিশেখর বলেন, ‘‘দলের জেলা সভাপতিকে ধারে এবং ভারে ভারী হতে হবে। না হলে তিনি সংগঠনকে ধরে রাখতে পারবেন না। সভাপতি যদি ভাবেন, অন্যের ইশারায় চলবেন তা হলে দল চলবে না। আমরা চাই শাসকদলের চমকানি, ধমকানি প্রতিহত করার মতো শক্তিশালী জেলা সভাপতি হোক সংগঠনে। এই অবস্থায় আমাদের জেলায় দলের বহু পুরনো কর্মী বসে গিয়েছেন। তাঁরা যাতে দলে সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে পারেন সে জন্য আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছি। এই চিঠিতে কোনও বিধায়কের সভাপতি বা অন্যান্য পদাধিকারীকে পছন্দ না হওয়ার মতো অভিমানের বিষয়টিও থাকতে পারে।’’
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ ডিসেম্বর দলের বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুর এই দুই সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতি পদে রদবদল করা হয়। বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পদে থাকা বিবেকানন্দ পাত্রকে সরিয়ে আনা হয়েছে সুনীল রুদ্র মণ্ডলকে। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজিত অগস্তিকে সরিয়ে ওই পদে বসানো হয়েছে বিল্বেশ্বর সিংহকে। এই রদবদলের পরেই বিদ্রোহের সুর শোনা যায় একাধিক বিজেপি বিধায়কের গলায়। পর দিনই দলের একাধিক রাজ্য এবং জেলাস্তরের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেন জেলার ওই চার বিধায়ক। সেই রাস্তায় আরও কিছুটা এগিয়ে এ বার সরাসরি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে বসলেন বিদ্রোহীরা।
বিজেপি-র অন্দরে বিদ্রোহের সুর ক্রমশই চড়া হচ্ছে পুরুলিয়া জেলাতেও। জানা গিয়েছে, পুরুলিয়া জেলায় দলের সভাপতি বদলের দাবিতে পাঁচ বিজেপি বিধায়ক সরাসরি চিঠি লিখেছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy