Advertisement
E-Paper

অনুব্রতের জেলায় আবার ভাঙন শাসক দলে, তৃণমূল থেকে পাঁচশো কর্মী যোগ দিলেন কংগ্রেসে

শনিবার হাঁসন বিধানসভার শীতলগ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁধখেলা গ্রামে যোগদান সভার আয়োজন করেছিল কংগ্রেস। তাদের দাবি, সেই সভায় তৃণমূল থেকে আসা কর্মীদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেওয়া হয়।

শনিবার হাঁসন বিধানসভার শীতলগ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁধখেলা গ্রামে যোগদান সভার আয়োজন করেছিল কংগ্রেস। নিজস্ব চিত্র।

শনিবার হাঁসন বিধানসভার শীতলগ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁধখেলা গ্রামে যোগদান সভার আয়োজন করেছিল কংগ্রেস। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৩ ২১:৪২
Share
Save

গরু পাচার মামলায় তিহাড়ে জেলবন্দি জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সেই বীরভূমে আবারও ভাঙন তৃণমূলে! শাসক দলের অন্তত ৫০০ কর্মী তাদের দলে যোগ দিয়েছে বলে দাবি করল কংগ্রেস। তৃণমূলের অবশ্য বক্তব্য, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে যাঁরা চলেন, তাঁরা কখনও অন্য দলে যেতে পারেন না।

শনিবার হাঁসন বিধানসভার শীতলগ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁধখেলা গ্রামে যোগদান সভার আয়োজন করেছিল কংগ্রেস। তাদের দাবি, সেই সভায় তৃণমূল থেকে আসা কর্মীদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেওয়া হয়। কংগ্রেসের দাবি, সাগরদিঘিতে কংগ্রেসের জয়লাভেই বোঝা গিয়েছে শাসক দলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে ফাটল ধরেছে। তা ছাড়া দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগের জন্যও অনেকে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করছেন। কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি মিল্টন রশিদ বলেন, ‘‘তৃণমূলের দু’বারের পঞ্চায়েত প্রধান আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। উনি গ্রামের প্রায় সব তৃণমূল কর্মীকেই আমাদের দলে নিয়ে এসেছেন। তৃণমূলের চুরি দেখে দেখে ক্লান্ত হয়েই কংগ্রেসে এসেছেন ওঁরা।’’

এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘কে বা কারা যোগদান করেছে, আমি জানি না। ওখানকার নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলব। কেন তাঁরা ক্ষুব্ধ হলেন, জানার চেষ্টা করব। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। তবে যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে চলেন, তাঁরা অন্য দলে যেতে পারেন না।’’

সম্প্রতি বীরভূমের বেশ কয়েকটি জায়গায় শাসক দলে রক্তক্ষরণের দাবি করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। দিন কয়েক আগেই তৃণমূল নেতা কাজি নুরুল হুদা তাদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করেছে কংগ্রেস। বোলপুর মহিদাপুর এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতি জানারুল মল্লিক, শেখ সাহাজুল-সহ হাজার খানেক কর্মী তৃণমূল ছেড়ে বাম-কংগ্রেস জোটে যোগ দিয়েছেন বলে জোটের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। সিউড়ি ১ ব্লকের ভূরকুনা পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য-সহ বেশ কয়েক জন কর্মী তাঁদের দলে এসেছেন বলে দাবি করেছিল বিজেপি নেতৃত্বও।

শাসক শিবির অবশ্য প্রতি বারই এই যোগদানের দাবিকে খারিজ করেছে। জেলাস্তরের এক নেতার কথায়, ‘‘কেউ যদি অন্য দলে যোগও দেন, তা হলেও আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে তার কোনও প্রভাব পড়বে না।’’

Birbhum

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}