আগের দিন তারা ফিরেছিলেন জেলায়। সোমবার ছত্তীশগঢ় থেকে উদ্ধার হওয়া সাত কিশোরকে তুলে দেওয়া হল পরিবারের জিম্মায়। বিডিও বিনয়কৃষ্ণ বিশ্বাস জানান, সোমবার চাইল্ড লাইনের আদ্রা ইউনিটের সদস্যরা ওই সাত জনকে বরাবাজারে নিয়ে আসেন। আগে থেকেই সে খবর জানানো ছিল তাদের অভিভাবকদের। প্রত্যেকের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এদের সকলের বয়স ১৫ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। এ দিন ওই কিশোররা প্রশাসনের কর্তাদের জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগে বরাবাজারের হিজলা গ্রামের বাসিন্দা মন্টু শবর তাদের বাইরে গিয়ে কাজের প্রস্তাব দেয়। সঙ্গে ছিল মোটা টাকা বেতন এবং বিনামূল্যে থাকা-খাওয়ার প্রতিশ্রুতি। সে কথা জেনে পরিজনেরাও ছেড়ে দিয়েছিলেন ওই কিশোরদের। এখন তাঁরাই আফশোস করছেন, ‘‘তখন কেন বিস্তারিত খোঁজখবর নিলাম না। তা হলে আর ওদের এত কষ্ট করে এতগুলো মাস কাটাতে হত না!’’ ওই কিশোরদের দাবি, ছত্তীশগঢ়ে তাদের দিয়ে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করানো হত। সেখানে তাদের ঠিক মতো খাওয়া-দাওয়া দেওয়া হত না। গাদাগাদি করে তাঁবুর ভিতরে থাকতে হত। চাইল্ড লাইনের আদ্রা ইউনিটের সম্পাদক নবকুমার দাস জানান, শনিবার রাতেই চাইল্ড লাইনের ছত্তীশগঢ় ইউনিটের সদস্যরা এই কিশোরদের আদ্রায় পৌঁছে দেন। নবকুমারবাবুর কথায়, ‘‘ওদের অন্য এক জায়গায় কাজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময় রাইপুর বাসস্ট্যান্ডে অপারেশন মুসকান চলার সময় এরা ধরা পড়ে।’’ তিনি জানান, তারপরেই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই কিশোরদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy