এক জন শিক্ষিকা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় গত মঙ্গলবার থেকে সাত দিনের জন্য বন্ধ হয়ে রয়েছে রামপুরহাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার নতুন করে পাঁচ জন শিক্ষিকার করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট এল। পর পর শিক্ষিকারা আক্রান্ত হওয়ায় স্কুলের পঠনপাঠনে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সামনেই মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের টেস্ট পরীক্ষা। এই পরিস্থিতিতে উপায় ঠিক করতে বৃহস্পতিবার স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা এবং কয়েক জন শিক্ষিকার উপস্থিতিতে জরুরি বৈঠক হয়।
স্কুল ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, শিক্ষিকা আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসতেই সোমবার স্কুলের শিক্ষিকা ও কর্মী মিলিয়ে ৪০ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছিল। তার মধ্যে থেকেই পাঁচ শিক্ষিকার করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মল্লিকা হালদার জানান, শিক্ষিকারা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় শিক্ষা দফতর এবং প্রশাসনের নির্দেশে স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে।
এ দিকে, রামপুরহাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে এবারে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৭২। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ৩৭৮ জন। আবার, পর্ষদ এবং উচ্চ মাধ্যমিক সংসদ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের টেস্ট শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কী করনীয় তা স্থির করতেই এ দিন স্কুলে ওই বৈঠক হয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা বলছেন, ‘‘ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে পরীক্ষার্থীদের টেস্ট নেওয়া হবে। তবে সংখ্যা বেশি হওয়ার জন্য কোভিড বিধি মেনে পরীক্ষা কী ভাবে হবে সেই ব্যাপারে শিক্ষা দফতর এবং প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা করা হবে।’’
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার অর্থাৎ ৩০ নভেম্বর স্কুলের এক শিক্ষিকা করোনা আক্রান্ত হয়। ওই রাতেই স্কুল কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্কুল বন্ধের নোটিশ অভিভাবকদের গ্রুপে মোবাইলে জানিয়ে দেন। তখন অবশ্য শিক্ষিকার আক্রান্ত হওয়ার কথা জানানো হয়নি। পরে প্রশাসনিক স্তরে এবং শিক্ষা দফতরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুলের গেটে নোটিশ টাঙিয়ে সোমবার পর্যন্ত স্কুল বন্ধের কথা জানায়। সোমবার আসা ছাত্রীদের কেউ অসুস্থ বোধ করলে তার করোনা পরীক্ষা করানোর জন্যে অভিভাবকদের কাছে স্কুল কর্তৃপক্ষ আর্জি রেখেছেন।