ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় সরকার অধিনস্থ সংস্থা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ কেন ঘিঞ্জি দুবরাজপুর শহর এড়িয়ে বাইপাস করছে না, কোথায় সমস্যা হচ্ছে সেই প্রশ্নই সংসদে তুলে ধরতে মঙ্গলবার এলাকার সাংসদ শতাব্দী রায়কে অনুরোধ করল দুবরাজপুরের প্রশাসক বোর্ড।
কোভিড-এর তৃতীয় ঢেউ আসার আগে কতটা প্রস্তুত পুরসভাগুলি, তাঁর সাংসদ তহবিলের টাকায় অক্সিজেন সিলিন্ডার সহ পুরসভাগুলিকে কী কী দিলে কোভিড মোকাবিলায় সুবিধা হয় সে ব্যাপারে বিভিন্ন পুরসভায় গিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। এ দিন সাঁইথিয়া হয়ে দুবরাজপুর পুরসভায় যান তিনি। কোভিড বিষয়ক আলোচনা শেষ হতেই বাইপাস প্রসঙ্গ ওঠে। কী অবস্থায় রয়েছে সেটি জানতে শতাব্দী ফোন করেন জাতীয় সড়কের ডিভিশন ১২-র এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার নিশিকান্ত সিংহকে।
সাংসদ জানতে চান, বাইপাস সংক্রান্ত ডিপিআর (ডিটেল প্রোজেক্ট রিপোর্ট) কী অবস্থায় রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত কোনও সমস্যা আছে কিনা জানতে চেয়েছিলাম। ওঁকে বলেছি আপনি ওই সংক্রান্ত ফাইলের প্রতিলিপি আমাকে দিন, প্রয়োজনে আমি দিল্লিতে গিয়ে বিভাগীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।’’
পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, জাতীয় সড়ক গিয়েছে ঘিঞ্জি পুরশহরের মধ্যে দিয়ে। কিন্তু প্রবল যানবাহনের চাপে শহরের প্রাণান্তকর অবস্থা। দুবরাজপুর শহর এড়িয়ে ‘ফোর লেন বাইপাস’ হবে, ২০১৬ সালেই এই তথ্য সামনে এসেছিল। কোন দিকে দিয়ে যাবে বাইপাস, কত জমি অধিগ্রহণ করতে হবে সে ব্যাপারেও খসড়া তৈরি করা হয়েছিল। যানজটে নাকাল শহরবাসী আশ্বস্ত হয়েছিলেন, সমস্যা মিটতে চলেছে ভেবে।
কিন্তু তারপর প্রায় পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও বাইপাস হচ্ছে এমন কোনও ইঙ্গিত সামনে আসেনি। বাইপাসের জন্য প্রস্তাবিত জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়াও শুরু করেনি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। তার ফলে নিত্য যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে শহরবাসীকে।
ঘটনা নিয়ে সমান ভাবে উদ্বিগ্ন ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি বছরের গোড়ায় সরব হয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। আন্দোলন গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। ভোটের আগে শহর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বাইপসের দাবিতে পথ অবরোধও হয়। কিন্তু তারপরও কতটা কী এগিয়েছে সেটা অজানা। সাংসদকে নাগালে পেয়ে সেটা দিল্লিতে তুলে ধরার অনুরোধ জানান পুর প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন পীযূষ পাণ্ডে।
আদৌ কী বাইপাসের বিষয়ে কাজ কিছু এগিয়েছে এ ব্যাপারে? জাতীয় সড়কের ডিভিশন ১২-র এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‘‘ওই প্রোজেক্ট কী অবস্থায় আছে, কতটা কাজ এগিয়েছে জনপ্রতিনিধি হিসেবে সাংসদকে জানিয়েছি। এই নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে মন্তব্য করব না।’’
দুবরাজপুর পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়োজন মতো দু’টি অক্সিজেন সিলিন্ডার পুরসভাকে দেবেন কথা দিয়েছেন শতাব্দী। সঙ্গে রেলের সঙ্গে স্টেশন সংযোগকারী বেহাল রাস্তা সংস্কার ও তাঁর সাংসদ তহবিলের টাকায় দুবরাজপুরে স্থায়ী ভবন না থাকা একটি পুর উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে পুরসভার পক্ষ থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy