বিজেপি বিধায়কের নামে পোস্টার ছড়ানো হল ছাতনায়। —নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণা হয়েছে প্রায় এক মাস। কিন্তু বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের পরাজয় নিয়ে তরজা অব্যাহত। এ বার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, চিকিৎসক প্রার্থী সুভাষের হারের জন্য বিজেপির এক বিধায়ককে দায়ী করে পোস্টার পড়ল ছাতনা থানা এলাকায়। পোস্টার-বিতর্কে তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি। অন্য দিকে, শাসকদলের দাবি, পদ্মশিবিরের গোষ্ঠীকোন্দলের প্রতিফলন পড়ছে। এতে তাদের কোনও হাত নেই।
মঙ্গলবার ছাতনা থানার ঝাঁটিপাহাড়ি বাজার এলাকায় সাদা কাগজে ছাপানো কিছু পোস্টার দেখা গিয়েছে বিভিন্ন দেওয়ালে। তাতে লেখা, ‘‘ডাক্তারবাবুকে হারানোর মূল কারিগর সত্যনারায়ণ দূর হটো। ছাতনা ও শালতোড়ায় বিজেপি বিধায়ককে শেষ করার মূল কারিগর সত্যনারায়ণ দূর হটো।’ পোস্টারগুলি কে বা কারা ছড়িয়েছেন, তা জানা যায়নি। তবে এই ঘটনায় একে অপরকে দোষারোপ করেছে বিজেপি এবং তৃণমূল।
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্র হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। তৃণমূলের অরূপ চক্রবর্তীর কাছে পরাজিত হয়েছেন কেন্দ্রের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। বাঁকুড়া লোকসভার অন্তর্গত সাতটি বিধানসভার মধ্যে প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে বাঁকুড়া বিধানসভা বাদ দিলে বাকি ছ’টিতেই এগিয়ে তৃণমূল। গেরুয়া শিবিরের হারের পিছনে নানা তত্ত্ব উঠে এসেছে। হারের কারণ খুঁজছে দল। তার মধ্যেই ছাতনার বিজেপি বিধায়ক সত্যনারায়ণের উপর হারের দায় চাপিয়ে এবার পোস্টার পড়ায় শোরগোল শুরু হয়। এ নিয়ে বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডল বলেন, “বাঁকুড়া লোকসভার সাতটি বিধানসভার মধ্যে চারটি বিধানসভায় বিজেপির বিধায়ক রয়েছেন। প্রত্যেক বিধায়কই নিজের নিজের সর্বোচ্চ ক্ষমতা অনুযায়ী লোকসভা ভোটে কাজ করেছেন। এখন ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী বিধায়কদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তৃণমূল এই সমস্ত পোস্টার ছড়াচ্ছে। কিন্তু তাদের ওই উদ্দেশ্য সফল হবে না।”
তৃণমূল এই পোস্টার-বিতর্ক নিয়ে পাল্টা বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে। তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা বাঁকুড়া লোকসভার নবনির্বাচিত সাংসদ অরূপ বলেন, “বিজেপির কে কী করেছে, তার জন্য তৃণমূল কেন পোস্টার দিতে যাবে? এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।” সাংসদের সংযোজন, “সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায়কে বলব আপনি ওই দলে থেকে দলের জন্য কাজ করেও সম্মান পাচ্ছেন না। তাই আমাদের দলে চলে আসুন। আমরা আপনাকে স্বাগত জানাব।” সত্যনারায়ণ নিজে অবশ্য পোস্টার এবং তৃণমূল সাংসদের আহ্বানকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁর দাবি, “কে কখন রাতের অন্ধকারে চোরের মতো পোস্টার দিয়ে যাবে, তা নিয়ে আমার কোনও মাথাব্যাথা নেই। এ সব দেখতে বা তা নিয়ে চর্চা করতে গেলে কাজ করব কখন?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy