—প্রতীকী চিত্র।
বাজার যাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত গভীর হয়ে যাওয়ার পরও খুঁজে পাওয়া যায়নি ৪৩ বছরের রবীন্দ্রনাথ টুডুকে। শুক্রবার সকালে বীরভূমের লাভপুরের শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের ওই বাসিন্দার দেহ উদ্ধার হল একটি ফাঁকা মাঠে। নলি কাটা অবস্থায় রবীন্দ্রনাথের দেহ দেখে আঁতকে ওঠেন প্রতিবেশীরা। পরিবারের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে ওই প্রৌঢ়কে।
রবীন্দ্রনাথের পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ বাড়ি থেকে বের হন ওই ব্যক্তি। ‘বাজার করে আসছি’ বলে বেরিয়ে যাওয়া রবীন্দ্রনাথ আর বাড়ি ফেরেননি। দেরি হচ্ছে দেখে পরিবারের সদস্যেরা তাঁর খোঁজ শুরু করেন। প্রতিবেশীরাও বিভিন্ন জায়গায় প্রৌঢ়কে খুঁজতে যান। কিন্তু কোথাও দেখতে পাওয়া যায়নি তাঁকে। উদ্বেগের মধ্যে রাত পার হয় পরিবারের। শুক্রবার সকাল ৬টা নাগাদ গ্রামের কয়েক জন মাঠে যাচ্ছিলেন। মূল রাস্তা গ্রামে ঢোকার আগে একটি ফাঁকা মাঠ রয়েছে। সেখানে একটি সাইকেল পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। একটু দূরেই পড়েছিল রবীন্দ্রনাথের দেহ। কয়েক জন তাঁকে চিনতে পারেন। কাছে গিয়ে নাম ধরে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি। এর পর কাছে গিয়ে তাঁরা চমকে ওঠেন। দেখেন, প্রৌঢ়ের গলায় অস্ত্রের কোপ রয়েছে। তাঁর নলি কাটা। ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এর পর খবর যায় পুলিশে।
স্থানীয়দের অনুমান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কেটে খুন করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথকে। লাভপুর থানার পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। কী কারণে খুন হতে পারেন রবীন্দ্রনাথ, তাঁর সঙ্গে কারও ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল কি না, স্পষ্ট করে বলতে পারেনি পরিবার। রহস্যমৃত্যুর পিছনে রাজনৈতিক কোনও কারণ নেই বলেও দাবি করেছেন তাঁরা। মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy