—প্রতীকী চিত্র।
সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু হলেও ধান ভাঙানোর জন্য বীরভূমে চালকল মালিকদের সঙ্গে খাদ্য দফতরের চুক্তি এখনও হননি। বুধবার থেকে জেলায় সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু হয়েছে। প্রতিটি ব্লকে এই প্রক্রিয়ার উপরে নজরদারি চালানোর জন্য তিন জনের কমিটি গঠিত রয়েছে। তাতে কৃষি দফতর ও বিডিও অফিসের আধিকারিকদের পাশাপাশি চালকলের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন।
জেলা খাদ্য নিয়ামক অমৃত ঘোষ বলেন, ‘‘গতবছর জেলায় ৫৩ জন চালকল মালিক খাদ্য দফতরের সঙ্গে ধান ভাঙানোর জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। আশা করি এ বছর চালকল মালিকেরা শীঘ্রই চুক্তি করবেন।’’ বীরভূমে ৭৩টি চালকল চালু আছে। জেলা চালকল মালিক সংগঠনের জেলা সম্পাদক সঞ্জীব মজুমদার বলেন, ‘‘এ বার কত জন চালকল মালিক চুক্তি করবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি। দিন কয়েক আগে এ নিয়ে বৈঠক করেছি। ফের আলোচনা হবে। আগামী সাত দিনের মধ্যে চুক্তি হবে। প্রশাসনের কাছে আমাদের কিছু দাবি আছে।
সেগুলিও পূরণের আর্জি জানাব প্রশাসনের কাছে।” জানা গিয়েছে, রাজ্য চালকল মালিক সমিতি সরকারের কাছে ধান ভাঙানো ও পরিবহণের জন্য পাওয়া অর্থ বাড়ানোর দাবি তুলেছে। এখনও পর্যন্ত সরকার এ নিয়ে কিছু জানায়নি বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
চালকল মালিকদের বক্তব্য, এক কুইন্টাল ধানের জন্য ৬৮ কেজি চাল দিতে হয় তাঁদের। কিন্তু দেখা গিয়েছে, এক কুইণ্টাল ধান থেকে খুব বেশি হলে ৬২ কেজি চাল পাওয়া যায়। বাড়তি ছ’কেজি চাল সরকারকে দিতে হয় চালকল মালিকদের। প্রশাসনের কাছে ঝাড়াই-বাছাই করে, গুণমান বজায় রেখে তাঁদের ধান দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন চালকল মালিকেরা। চাষিদের কাছে এই অনুরোধ তাঁরা করতে পারবেন না। খাদ্য দফতরকেই এ নিয়ে চাষিদের মধ্যে প্রচার চালানোর অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান সঞ্জীব।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ধান ভাঙানোর জন্য আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে চালকল মালিকদের সঙ্গে খাদ্য দফতরকে চুক্তি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, ‘‘চালকল মালিকদের কিছু দাবি আছে। সেটা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। চুক্তির বিষয় নিয়েও কথাবার্তা চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy