স্বস্তি: সকাল থেকেই আকাশজোড়া মেঘ। পরে নামল বৃষ্টিও। সোমবার। সিউড়িতে। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়
গত কয়েক দিনের তুলনায় জেলায় ভোটের তাপ কমেছে। দফায় দফায় কালবৈশাখী আর বৃষ্টি এ বার নামিয়ে দিল বাইরের তাপমাত্রাও। আবহাওয়া দফতরের হিসেব বলছে, জেলায় পারদ নেমেছে প্রায় আট ডিগ্রি।
মে মাসের দোরগোড়ায় পৌঁছেও বীরভূমের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি অতিক্রম করেনি। দিনকয়েক ধরে দফায় দফায় কালবৈশাখী এবং সোমবার ভোর থেকে বৃষ্টির পরে আবহাওয়াও অনেকটা অনুকূল। তবে চিন্তায় বোরো চাষিরা।
গত কয়েকদিন থেকেই মেঘের আনাগোনা ছিল। অল্পস্বল্প বৃষ্টিও হয়েছে। তবে সোমবার সকালে আকাশ কালো করে মেঘ ও সঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে জেলার প্রায় সর্বত্র। কোথাও একটু কম, কোথাও একটু বেশি। আবহাওয়া দফতরের জেলা পরিমাপ কেন্দ্রও জানাচ্ছে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ভালই। সোমবার তাপমাত্রা ছিল ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানে পারদ নেমেছে প্রায় আট ডিগ্রি।
কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগের বছরগুলিতে বোরো চাষ হত গড়ে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার হেক্টর জমিতে। এ বার সেখানে বোরো চাষ হয়েছে প্রায় ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে। চাষিরা বলছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত তেমন ভাবে গ্রীষ্ম পড়েনি। জলেরও অভাব নেই। সেচের জল মিলেছে। ভূগর্ভস্থ জলে পেতেও সমস্যা হয়নি। তাই ভাল ভাবে ফসল ঘরে তোলার আশায় রয়েছি। কিন্তু, এখন বৃষ্টি লাভ নয়, ক্ষতিই করবে।’’ চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ধানের শীষ পুষ্ট হয়েছে। কোথাও কোথাও ধান পেকেছে। ফসল ঘরে তোলার কাজ চলছে। মাঠে জল জমলে বা মারাত্মক কালবৈশাখী বা শিলাবৃষ্টি ফসল নষ্ট করতে পারে।
বীরভূমের জেলা উপ-কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) সমীর ঘোষ জানিয়েছেন, এই সময় বৃষ্টি বোরো চাষের জন্য লাভদায়ক নয় ঠিকই। তবে সোমবার বৃষ্টি হলেও কোথাও ব্যাপক ঝড় বা শিলাবৃষ্টির হয়েছে, এমন খবর নেই। সমীরবাবুর কথায়, ‘‘সে জন্যই বোরো ধানের তেমন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। যদিও এই বৃষ্টি তিল, মুগ, কালো কলাই এবং আনাজ চাষে লাভদায়ক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy