সিউড়ি শহরে চলাচল করে (শহর ও শহর লাগোয়া পঞ্চায়েত এলাকার) করে, এমন টোটোর ‘রেজিস্ট্রেশন’ বা নথিভুক্তিকরণ শুরু হল মঙ্গলবার থেকে। এ দিন জেলা তথ্য সংস্কৃতি দফতর সংলগ্ন সিধো-কানহু মঞ্চে ৩০০টি টোটো নিবন্ধীকরণের আবেদন জমা দিয়েছে। শুধু নিবন্ধীকরণ নয়, কিউআর কোড যুক্ত ‘টেম্পোরারি আইডেন্টিফিকেশন নম্বর’ও দেওয়া হবে টোটো চালকদের।

টোটোর অস্বাভাবিক সংখ্যাবৃদ্ধি ও নিয়ন্ত্রণহীনতার জন্য হাঁসফাঁস সিউড়ি শহর। যানজটের সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তির পথ খুঁজতে গত মাসের প্রথম দিকে একটি প্রশাসনিক বৈঠক হয়েছিল। সেখানেই টোট- যন্ত্রণা মুক্তির বেশ কয়েকটি উপায় বের করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে এ দিন থেকে টোটোর নিবন্ধকীরণ শুরু হয়েছে। এর আগে রামপুরহাট শহরেও এই কাজ হয়েছে। তৃণমূল প্রভাবিত টোটো ইউনিয়নের সভাপতি রাজীবুল ইসলাম জানান, টোটার সংখ্যা কমাতে সিউড়ি শহরে চলাচলকারী টোটোগুলিকে জোড়-বিজোড় সংখ্যায় ভাগ করে দেওয়া হবে। থাকবে পৃথক রংও। রেজিস্ট্রেশন নম্বর হয়ে গেলেই এক দিন অন্তর রাস্তায় নামবে জোড়-বিজোড় টোটো। সিউড়ির পুরপ্রধান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘টোটো ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে যানজট মুক্তির সমস্যা মিটিয়ে ফেলা যাবে বলে আমাদের আশা। সেই জন্যই শহরে চলাচল করছে এমন প্রতিটি টোটোর নিবন্ধীকরণ করা হচ্ছে।’’

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি শহরে টোটোর সমস্যা নিয়ে অক্টোবরে হওয়া বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, শহরে চলাচকারী টোটোগুলিকে প্রতিদিন এক সঙ্গে চলতে দিলে হবে না। এক দিন অন্তর রাস্তায় নামবে জোড়-বিজোড় নম্বরযুক্ত টোটো। শহরের যেখানে সেখানে পার্কিং বন্ধ করা হবে। যাত্রীদের প্রত্যাখ্যান বা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করা চলবে না। একই মালিকের একটির বেশি টোটো রাস্তায় চলবে না। জাতীয় সড়কে উঠবে না ইত্যাদি।

টোটোর অস্বাভাবিক সংখ্যাবৃদ্ধি যানজটের একটা কারণ বলে স্বীকার করলেও শুধু মাত্র টোটোর জন্যই যাবতীয় সমস্যা, এমনটা মানতে নারাজ টোটো ইউনিয়নগুলি। তাদের দাবি, শহরের রাস্তা জরবদখল হয়ে গিয়েছে। তার উপরে রাস্তার দু’দিকে সার দিয়ে মোটরবাইক ও অন্যান্য গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখার জন্য রাস্তা সঙ্কীর্ণ। সেই জন্যই টোটো চলাচলে সমস্যা বাড়ছে। সিউড়ির পুরপ্রধানের অবশ্য দাবি, সিউড়ির গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এসপি মোড় থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত অবৈধ দখলদারি হটাতে এ দিন সকালেই অভিযান চলেছে।