ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে রামপুরহাটের বগটুইয়ে। নিজস্ব চিত্র।
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কত জনের? এক এক জন এই প্রশ্নের এক এক রকম উত্তর দিচ্ছেন। স্বভাবতই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
কলকাতার ভবানী ভবন থেকে রাজ্য পুলিশের ডিজি জানিয়েছেন, একটি বাড়িতে আগুন লাগানোর জেরে সাত জনের একসঙ্গে মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে আরও এক জনের। অর্থাৎ ভাদুর মৃত্যুর পর ডিজির দাবি অনুযায়ী, মোট আট জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও তাঁর দাবির সঙ্গে মিলছে না হাসপাতাল ও বীরভূমের পুলিশ সুপারের দাবি।
রামপুরহাট সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে মোট সাত জনের পোড়া দেহ পৌঁছেছে। অবস্থা এমনই যে পুরুষ, মহিলা ফারাক করা যাচ্ছে না। ফরেন্সিক দল পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখছে। রিপোর্ট এলে বোঝা যেতে পারে মৃতদের মধ্যে ক’জন পুরুষ, ক’জন মহিলা এবং তাঁদের বয়স কত।
অন্য দিকে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গিয়ে পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠির দাবি ছিল, আগুন লেগে মোট সাত জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে দমকলের এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, সোমবার তিন জনের মৃতদেহ তাঁরা উদ্ধার করেছিলেন। মঙ্গলবার সকালে একটি বাড়ি থেকেই সাত জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। অর্থাৎ দমকলের হিসেব অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা দশ।
ফলে ঠিক কত জনের মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে অভিযোগ করেছিলেন, গোটা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার পাশাপাশি মৃতের সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর অপচেষ্টা শুরু হয়ে গিয়েছে।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ রামপুরহাটে একটি চায়ের দোকানে বসে থাকার সময় বোমার ঘায়ে গুরুতর জখম হন স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালবীয় জানান, ভাদুর মৃত্যুর এক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তাতেই একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। কিন্তু আগুনের ঘটনায় মোট কত জনের মৃত্যু হয়েছে? তা নিয়ে ধোঁয়াশার জবাব মেলেনি এখনও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy