বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বাঁকুড়ায় নামল তাপমাত্রা। — প্রতীকী ছবি।
বৃহস্পতিবার কালবৈশাখীর বৃষ্টি ধুয়ে দিল বাঁকুড়াকে। সেই সঙ্গে শিলাবৃষ্টি। এই দুইয়ের জেরে জেলার সর্বত্র তাপমাত্রা বেশ কিছুটা নামে। ফলে স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়ছেন গৃহস্থ। যদিও শিলাবৃষ্টির জেরে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তাপমাত্রার পতন সাধারণ মানুষের কাছে উপভোগ্য হলেও শিলাবৃষ্টিতে মাথায় হাত কৃষক সমাজের।
অবশেষে কালবৈশাখীর ছোঁয়া পেল বাঁকুড়া জেলা। বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটে নাগাদ আচমকাই ঘন কালো মেঘে ঢেকে যায় বাঁকুড়ার আকাশ। সঙ্গে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া। ঝড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় চল্লিশ মিনিট ধরে ঝড় ও বৃষ্টি হয় বলে জানা গিয়েছে। ঝড়বৃষ্টিতে তাপমাত্রা নেমে যাওয়ায় গত কয়েক দিন ধরে চলা প্রবল গরম থেকে আপাতত মুক্তি মিলেছে বাঁকুড়াবাসীর। তাতেই স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়ছেন বাঁকুড়াবাসীদের একাংশ।
বৃহস্পতিবারই বাঁকুড়ায় আসার কথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গুমোট গরম কাটিয়ে আবহাওয়া ঠান্ডা হওয়ায় স্বস্তি তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের মধ্যেও।
কালবৈশাখী তাপমাত্রা কমিয়ে দিলেও শিলাবৃষ্টিতে মাঠের ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকদের একটি অংশ। বাঁকুড়া জেলার কৃষকদের একাংশের দাবি, শিলের ঘায়ে ফসলের সর্বনাশ হয়ে যায়। মাঠে ধান থেকে শুরু করে সমস্ত শাকসব্জি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এক কৃষক জানান, ফসলের গায়ে শিলের ঘা পড়লে সেই জায়গায় পচন ধরে যায়। কিছু ক্ষেত্রে পচন না ধরলেও বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে আশানুরূপ দাম মেলে না বাজারে। পাশাপাশি আঘাতপ্রাপ্ত আনাজ, সব্জি, ফল দ্রুত বাজারজাত করারও সমস্যা রয়েছে।
শুধু বাঁকুড়াই নয়, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনাতেও ঝোড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টির খবর পাওয়া গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy