কর্মাধ্যক্ষর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া পাড়া পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ দীপক আচার্য। আর তার আগে মহকুমাশাসকের কাছে পঞ্চায়েত সমিতির নানা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ জানালেন।
সম্প্রতি বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন পাড়ার তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ দীপক আচার্য। দলবদলের কারণ হিসেবে সেই সময়েই তিনি পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ মৌখিক ভাবে জানিয়েছিলেন। বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পরেই দীপকবাবুর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সদস্যরা।
তলবি সভার আগেই বুধবার মহকুমাশাসক (রঘুনাথপুর)-এর কাছে চিঠি পাঠিয়ে পদত্যাগ করেন দীপকবাবু। তবে মহকুমাশাসক (রঘুনাথপুর) দেবময় চট্টোপাধ্যায় জানান, পদত্যাগের চিঠি এখনও তাঁর কাছে পৌঁছয়নি। পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পদত্যাগপত্র পাঠানোর আগে মঙ্গলবার বিডিও (পাড়া)-র কাছে ইন্দিরা আবাস যোজনা, গীতাঞ্জলী প্রকল্প-সহ মোট উনিশটি বিষয় নিয়ে লিখিত অভিযোগ জমা করেন তিনি। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে টেন্ডারে সিন্ডিকেটরাজ চালানোর অভিযোগ তুলেছেন দলত্যাগী এই কর্মাধ্যক্ষ। তাঁর অভিযোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ওপেন টেন্ডার হচ্ছে না। এর ফলে রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে।
বিডিও (পাড়া) সমীরণ বারিক জানান, অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও ক্ষেত্রে তদন্তের প্রয়োজন হলে করা হবে। তবে দীপকবাবু দলে এবং পদে থাকার সময়ে এই অভিযোগগুলি করেননি কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।
দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক নবেন্দু মাহালি বলেন, ‘‘রাজনৈতিক কারণে উনি ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছেন।’’ পাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সীমা বাউড়ি বলেন, ‘‘দীপকবাবুর বিরুদ্ধে আগেই বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। ওঁকে টেন্ডার কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দুর্নীতিতে জড়িত কর্মাধ্যক্ষের এই অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন।’’
এই প্রসঙ্গে দীপকবাবুর পাল্টা দাবি, কর্মাধ্যক্ষ থাকাকালীন তিনি ওই সমস্ত বিষয় নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতিতে সরব হয়েছিলেন। দলীয় নেতৃত্বের কাছেও অভিযোগও জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই বাধ্য হয়ে দল ছেড়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy