ইন্দিরা মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র
মাত্র এক নম্বর কম পাওয়ায় উচ্চমাধ্যমিকের মেধা তালিকায় স্থান হয়নি। তা নিয়ে আক্ষেপের শেষ ছিল না দুবরাজপুর গার্লসের ছাত্রী ইন্দিরা মণ্ডলের। উত্তরপত্র রিভিউয়ের পরে সেই স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে ওই ছাত্রীর। বৃহস্পতিবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাস বলেন, ‘‘ইন্দিরার নম্বর পরিবর্তিত হয়েছে। ওই ছাত্রী মেধা তালিকায় উঠে আসতে পারে।’’ যা শুনে খুব খুশি ওই ছাত্রী তাঁর বাবা-মা ও স্কুল। ইন্দিরার কথায়, ‘‘এর থেকে ভাল কিছু হতে পারে না।’’
আদতে দুবরাজপুরের বেলসাড়া গ্রামের বাসিন্দা প্রভাত মণ্ডল প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক। ওঁর স্ত্রী মনোরমা মণ্ডল অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। একমাত্র মেয়ে ইন্দিরার লেখাপড়া যাতে ভাল ভাবে হয়, তাই বহু বছর আগেই দুবরাজপুর চলে আসেন তাঁরা। বর্তমানে পরিবারটি দুবরাজপুর ডাকবাংলো পাড়ায় রামসীতা মন্দিরের কাছে বাড়ি বানিয়েছে। পরিজনদের নিরাশ করেনি মেয়ে। মাধ্যমিকে ভাল ফল হয়েছিল। উচ্চমাধ্যমিকেও খুব ভাল পরীক্ষা দেওয়ায় প্রভাতবাবুরা আশা করেছিলেন মেধা তালিকাতেও স্থান পেতে পারে মেয়ে। আশায় ছিল ইন্দিরা নিজেও। ৮ জুন ফল প্রকাশের পর দেখা যায় ৪৮১ পর্যন্ত নম্বর প্রাপ্তরাই স্থান পেয়েছে মেধা তালিকায়। ইন্দিরার প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৪৮০। বাংলায় ৯৭, ভূগোলে ৯৩, অর্থনীতিতে ৯৬, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৯৫ এবং দর্শনে ৯৯। পরিবর্তিত নম্বর এখনও হাতে আসেনি। তবে সংসদের বার্তা পেয়ে আপ্লুত মনোরমাদেবী। বলছেন, ‘‘মেয়েটার ইচ্ছেপূরণ হল।’’ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা অনুসূয়া চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘ইন্দিরা উচ্চমাধ্যমিকে খুবই ভাল ফল করেছিল। ও মেধা তালিকায় এলে স্কুলের মান বাড়ে যাবে।’’ আর ইন্দিরা বলছে, “রেজাল্ট বেরোনোর পর থেকে শুধু মনে হচ্ছিল, আর মাত্র একটা নম্বর কেন পেলাম না। শেষে ভূগোল, দর্শন ও অর্থনীতি— এই তিনটি বিষয়ে অনলাইনে রিভিউ করতে দিই। ভাগ্যিস দিয়েছিলাম।’’
গান, ছবি আঁকতে ভাল লাগে ইন্দিরার। সবচেয়ে প্রিয় বই। তারই ফল মিলল। তবে ইংরেজিতে সবচেয়ে কম ৯১ নম্বর পেয়ে তাতেই আনার্স নিয়ে বিশ্বভারতীতে ভর্তি হয়েছেন ইন্দিরা। কেন? ইন্দিরা বলে, ‘‘আমি প্রশাসক হতে চাই। ওই পরীক্ষায় বসতে হলে ইংরেজি ভাল করে জানা জরুরি। তাই ওই বিষয়ে অনার্স নিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy