বার্তা: স্কুল খোলার আগে সিউড়ির একটি স্কুলের সামনে দেওয়া হচ্ছে করোনা সতর্কতার ফ্লেক্স। বৃহস্পতিবার। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।
করোনা-পরিস্থিতিতে টানা ১১ মাস বন্ধ থাকার পর আজ শুক্রবার থেকে খুলছে স্কুল। বেশ কিছু স্কুলের পরিকাঠামোগত সমস্যা থাকায় কোভিড সতর্কতা বিধি মেনে স্কুল খোলার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। সেসব কাটাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার পাশাপাশি ইতিবাচক থাকারই চেষ্টা করছেন জেলার বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষকেরা। জেলা সহকারি বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অরিন্দম মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘কোভিড বিধি মেনে স্কুল খোলার প্রস্তুতি কোন পর্যায়ে তা জানতে পরিদর্শন চলছে স্কুলে স্কুলে। সেটা চলবে শুক্রবারও। যেটুকু তথ্য উঠে এসেছে তা ইতিবাচক।’’
দুবরাজপুরের চিনপাই উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদ্যুৎ মজুমদার বলেন, ‘‘পাঁচটি ক্লাসে আমাদের স্কুল পড়ুয়ার সংখ্যা এক হাজারেরও বেশি। ১৫টি শ্রেণিকক্ষ। কোভিড বিধি মেনে পড়ুয়াদের বেঞ্চে বসাতে গেলে সবাইকে স্কুলে আসতে বলা সমস্যার। তাই প্রথম দিনের উপস্থিতি দেখে ছাত্র ও ছাত্রীদের একদিন বাদ দিয়ে স্কুলে আসতে বলতে পারি।’’ বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় সাধু বলছেন, ‘‘প্রথম বেঞ্চে দু’জন, পরের বেঞ্চে একজন, এই হারে বসাতে গেলে ক্লাসের সংখ্যা বাড়াতেই হবে। সেই জন্য ২৯টি শ্রেণি কক্ষের ব্যবস্থা হয়েছে।’’ সিউড়ি বেণীমাধব ইন্সটিটিউটের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় সিংহ বলছেন, ‘‘আগে টেট সহ দুটি পরীক্ষার জন্য আমার স্কুল স্যানিটাইজ করা হয়েছিল। এখন আমরা নিজেরাই জীবাণুনাশ করার উপকরণ ভাড়া নিয়ে কাজ চালাচ্ছি। কেনা হয়েছে থার্মল গানও।’’
জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত, পুরসভা উদ্যোগী হয়ে জেলার বেশ কিছু স্কুলে জীবাণুনাশ করেছে। বাকিদের বলা হয়েছে নিজস্ব তহবিল থেকে সেটা করিয়ে নিতে। কিন্তু এমন অনেক স্কুল আছে যেগুলির আয়তনে অনেকটাই বড়। সেগুলির জন্য পর্যাপ্ত তহবিল না থাকায় জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনকে বলে জীবাণুনাশ করানোর ব্যবস্থা হয়েছে।
অভিভাবকদের সচেতন করার কর্মসূচি থাকলেও সব স্কুল, ‘স্বেচ্ছায় সন্তানদের স্কুল পাঠাচ্ছি’ -এই মর্মে অভিভাবকদের সম্মতিপত্র নেয়নি। কিছু স্কুল কী কী করণীয় সেগুলি একটি কাগজে ছাপিয়ে পড়ুয়াদের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। স্কুল খোলার সঙ্গে সঙ্গে ১০০ শতাংশ পড়ুয়া স্কুল উপস্থিত থাকবে, এতটা আশা করছেন না অধিকাংশ স্কুল কর্তৃপক্ষই। কারণ অনেক অভিভাবকই নিশ্চিত নন, সন্তানকে স্কুলে পাঠানো এখন ঠিক হবে কি না। উপস্থিতির হার খতিয়ে দেখার ভাবনা নিয়েছে জেলা শিক্ষা দফতরও। কত পড়ুয়ার উপস্থিতি আশা করেছিল স্কুল, কত পড়ুয়া হাজির ছিল, শতাংশের হার কত— এই মর্মে একটি করে রিপোর্ট প্রতিটি স্কুলের কাছে নেওয়া হবে বলে জানাচ্ছেন শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy