Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

অন্তঃসত্ত্বাকে লাথি, নষ্ট ভ্রূণ

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় লালবাঁধ গ্রামের কয়েকটি বাচ্চা অভিযুক্ত আশা মাহাতোর বাড়ির সামনে খেলছিল। তার মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা মীনা মাহাতোর বছর তিনেকের মেয়ে ওই বাড়ির সামনের অংশে শৌচকর্ম করে বলে অভিযোগ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৯ ০০:০৬
Share: Save:

পারিবারিক বিবাদের জেরে এক অন্তঃসত্ত্বাকে লাথি মারার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী মহিলার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তার জেরে ভ্রূণটি নষ্ট হয়ে যায়। সোমবার সন্ধ্যায় শান্তিনিকেতন থানার লালবাঁধের ঘটনা। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার ধৃতকে আদালতে পেশ করা হলে তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় লালবাঁধ গ্রামের কয়েকটি বাচ্চা অভিযুক্ত আশা মাহাতোর বাড়ির সামনে খেলছিল। তার মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা মীনা মাহাতোর বছর তিনেকের মেয়ে ওই বাড়ির সামনের অংশে শৌচকর্ম করে বলে অভিযোগ। আশা মাহাতো তা দেখে চিৎকার শুরু করেন। বছর তিরিশের মীনাদেবী বাড়ি থেকে বেরিয়ে তা পরিষ্কার করতে যান। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, মীনাদেবী মাটিতে বসে থাকা অবস্থাতেই আশা মাহাতো তাঁকে লাথি মেরে ফেলে দেন। অভিযোগ, তার পরে পেটে পা দিয়ে আঘাতও করেন। মীনাদেবীর শাশুড়ি বেনারসীদেবী জানান, ওই আঘাতের পরেই তাঁর পুত্রবধূ যন্ত্রণায় ছটফট করতে শুরু করেন। মঙ্গলবার সকালে ভ্রূণের কিছু অংশও বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। ‘আক্রান্ত’ মহিলার স্বামী বিমলবাবু হাতে কাপড় জড়িয়ে ওই ভ্রূণটিকে বের করেন। সেটি মৃত বলে মনে করে একটি পুকুরের পাশে পুঁতেও দেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, মীনাদেবীর শরীর খারাপ হয়। বিমলবাবু জানান, তাঁকে বোলপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার পরে শান্তিনিকেতন থানায় আশা মাহাতোর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। গত কালই তাঁকে ধরে পুলিশ। পুলিশ জানায়, তদন্তের স্বার্থে এ দিন ওই ভ্রূণটি মাটি খুঁড়ে তোলা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মীনাদেবীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

গ্রামবাসীর একাংশের বক্তব্য, পাড়া-পড়শির সঙ্গে সদ্ভাব ছিল না আশা মাহাতোর। তিনি একাই থাকেন। কোনও পরিজনও তাঁর নেই।

অন্য বিষয়গুলি:

Santiniketan Pregnant Crime
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy